মাইজভান্ডারী দর্শন ও সুফিবাদের তাৎপর্য বিষয়ক সেমিনার

105

দীক্ষিত লেখক সমিতি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে নৈতিকতা- জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধের জাগরণ এবং মনবতা-সততা-সভ্যাতার ক্রমবিকাশে মাইজভান্ডারী দর্শন ও সুফিবাদ অতীব তাৎপর্যবহ শীর্ষক সেমিনার মাইজভান্ডরী গাউছিয়া হক কমিটি শুলকবহর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি ও “বিশ্ব সুফিবাদী সংঘ” এর আহব্বায়ক সৈয়দ মুহাম্মদ সিরাজুদ্দৌলার সভাপতিত্বে সম্প্রতি নগরীর শুলকবহর ওয়ার্ড কমিশনার ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে স্বরচিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক সমিতির যুগ্ম আহব্বায়ক অধ্যাপক কাজী ফরিদ উদ্দিন আখতার। উদ্বোধক ছিলেন “আলোকিত জাতি ও সুশীল সমাজ বাস্তবায়ন পর্ষদ-আজসুবাপ’র সহ-সভাপতি এড. অধ্যাপক কাজী সাইফুদ্দিন আহমদ চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি শুলকবহর শাখার পৃষ্ঠপোষক ও কাউন্সিলর মোরশেদ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চেতনার কবি নজরুল গবেষক অধ্যক্ষ ড. মো. কামাল উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম চৌধুরী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাইজভান্ডারী একাডেমীর নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল বাতেন, শিক্ষক মন্ডলীর প্রশিক্ষক-শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ সামশুদ্দিন শিশির, বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন পর্ষদ’র মহিলা সচিব অধ্যাপিকা আলেয়া চৌধুরী, আঞ্জুমানে আশেকানে খাজা গরীবে নেওয়াজ (র.)‘র ধর্ম বিষয়ক সচিব মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান ও আন্তজাতিক সচিব ড. মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এম.এ মান্নান খান ও সংগঠক নোমান উল্লাহ বাহার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেমিনার ও জনসংযোগ সচিব মো. খাউমুর রশিদ।
প্রবন্ধকার বলেন- আত্মশুদ্ধিই আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রধান সোপান। পরিপূর্ণ জীবন লাভে পরিপূর্ণ জ্ঞানী হতে হয় আর সে জ্ঞানই আধ্যাত্মিক জ্ঞান, যে জ্ঞানের দ্বারা জাগ্রত হয় নৈতিকতা- জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ এবং বিকশিত হয় মানবতা- সততা- সভ্যতা, যাহা পরিপূর্ণ জীবন বিধান ও শান্তির ধর্ম- ইসলামের মূল। এক্ষেত্রে শিক্ষার পরিবর্তে দীক্ষাই প্রধান্য- যে অর্থে আমল বিহীন এলম অর্থহীন। তবে ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক তার কোনটাই অলী আল্লাহর অলৌকিক শক্তির নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত নয় এবং তাঁদের কোনো ভৌগলিক সীমারেখা নেই। যাহা মাইজভান্ডারীর দর্শন ও সুফীবাদে বিদ্যামান। বক্তাগণ বলেন- জ্ঞানই আলো, দীক্ষিত জনই- সুবিবেচক, জ্ঞানের প্রদীপ মনে নাহি জ্বলে যার কখনো গুচেনা তার ভ্রমান্ধকার, দানের মধ্যে উত্তম-জ্ঞান দান, তিনি উত্তম-যার দ্বারা সাধিত হয় কল্যাণ। কল্যাই ধর্ম, সেবাই মানবধর্ম। তবে যাঁরা সব দর্শনে জ্ঞাত তাঁরাই দীক্ষিত এবং দীক্ষিত জনের দ্বারা সকল প্রকার সমস্যা চিহ্নিতপূর্বক সমাধানের উপায় উদ্ভাবন সম্ভব, আর এক্ষেত্রে সুফিবাদ অতীব তাৎপর্যবহ। বিজ্ঞপ্তি