মহেশখালীতে ফিশিং বোটে লুটপাট, মাঝি নিখোঁজ

34

সাগরে ফের জলদস্যুদের তান্ডব শুরু হয়েছে। মহেশখালীর একটি ফিশিং বোটে জলদস্যুরা তান্ডব চালিয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে। ২১মার্চ বৃহস্পতিবার মহেশখালী পৌরসভার পশ্চিমপাড়া এলাকার মৌ. রিদুয়ানের ছেলে সালাহ উদ্দিনের মালিকানাধীন এফ বি মোর্শেদ, ৩৬ অর্শ্বশক্তি ইঞ্জিন চালিত ফিশিংবোটটি গত বৃহস্পতিবার মাছ শিকারের উদ্দেশ্য বঙ্গোপসাগরে যায় ১৩জন মাঝি মাল্লা সহ। ২৬ মার্চ দিবাগত রাত্রে মাছ শিকার শেষে, ফেরার পথে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে পৌঁছলে সেখানে জলদস্যুদের কবলে পড়ে বোটটি। জলদস্যুরা ব্যাপক তান্ডব চালায় বোটের মাঝি মাল্লাদের উপর। এ কারণে মাঝি ফজল করিম প্রাণ বাঁচাতে সমুদ্রে ঝাঁপ দেয় বলে জানা গেছে। বোটের অন্যান্য জেলেদের জিম্মি করে রেখে জলদস্যুরা বোটের মাছ, জাল, ইঞ্জিনের মুল্যবান পার্টস নিয়ে ইঞ্জিন বিকল করে দেয়। বোটের অন্যন্যা জেলেরা জিম্মি থেকে মুক্তি পেয়ে বিষয়টি বোটের মালিক সালাহ উদ্দিনকে অবহিত করে। বিকল অবস্থায় বোটটি সোনাদিয়ার বাইরে সাগরে ভাসতে ভাসতে গভীর সাগরের দিকে চলে যাচ্ছে বলে বোট মালিক কে মোবাইলে জানান জেলেরা।
জলদস্যুদের কবলে পড়া বোটের মালিক সালাহ উদ্দিন এ প্রতিবেদকে জানান- জিম্মি থেকে মুক্তি পাওয়া জেলেদের তথ্যমতে বোটের মাঝি ফজল করিমকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি, পরিচিত অপর একটি বোটের সহযোগিতায় বোটটি টেনে নিয়ে আসা হয়। অন্যান্য ১২জন মাল্লা জলদস্যুদের হামলায় আহত অবস্থায় কোন মতে জান নিয়ে ফিরে আসলেও খোঁজ মিলেনি সাগরে বোট থেকে পানিতে ঝাঁপ দেওয়া ফজল করিম মাঝির। তিনি উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের মৃত সাহেব মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত বোটের মালিক সালাহ উদ্দিন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আইনগত সহযোগিতা কামনা করেছেন। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিককে এবং মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধরকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত বোটের মালিকের ছোট ভাই মহিউদ্দিন।
নিখোঁজ মাঝি ফজল করিমকে খুঁজতে সাগরে ফিশিংবোট নিয়ে টহলে আছে বলে জানান জলদস্যুদের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ফিশিংবোটের মালিক।