মহাসড়কে মৎস্যজীবীদের বিক্ষোভ, যানজটে দুর্ভোগ

43

সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক আটকে বিক্ষোভ করেছে সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শাহ আমানত সেতু এলাকায় সড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করে। এ সময় সেতুর উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও যাত্রীরা।
সকাল ১১টার দিকে ফিশারিঘাট এলাকা থেকে কয়েকশ মানুষ মিছিল নিয়ে নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকায় অবস্থান নেন। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল সরকার।


সমাবেশে তিনি বলেন, বিগত বছরে ৬৫ দিনের মতো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। এটা নতুন করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা মৎস্যজীবীদের সাথে সরকারের দুরত্ব সৃষ্টি করছে। তাই অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। দাবি না মানলে, আবার রাজপথে নামব। মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আন্দোলন করা হবে।
মৎস্যজীবী নেতা আমিনুল আরো বলেন, আমরা ভাসান জাল ব্যবহার করি। আমাদের জালে ছোট মাছ ধরা পড়ে না। তাই এই নিষেধাজ্ঞায় আমাদের অন্তর্ভুক্ত করা অযৌক্তিক। আর ইলিশের প্রজনন মৌসুমেও ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকে, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। আষাঢ় মাসে ইলিশ ধরার মৌসুম শুরু হবে। এখন আমাদের সব বোট বসে আছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত চাল আমাদের মৎস্যজীবীরা নেবে না।
বিক্ষোভকারীরা রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সড়কে যানজট লেগে ছিল। এসময় শাহ আমানত সেতুর ওপর যানবাহনের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়। দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে আসা যাত্রীরা অনেকে হেঁটে সেতু পার হন।
বাকলিয়া থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন জানান, মৎস্যজীবীরা প্রায় ১৫ মিনিটের মত সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আশ্বস্ত করে সরিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সবধরনের নৌযানের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এসময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। তবে ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ছিল ৪৫ দিন। এ বছর তা বাড়িয়ে ৬৫ দিন করা হয়েছে। এদিকে একই দাবিতে গত রবিবার উত্তর চট্টলা উপকূলীয় জলদাস সমবায় কল্যাণ সমিতির ব্যানারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন মৎস্যজীবীরা।