মহামারীতে কিন্ডারগার্টেন ব্যক্তি মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত

41

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের নেতারা। গত ৩ জুলাই পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী নেতৃত্বে সাক্ষাতের সময় করোনাভাইরাসের মহামারি পরিস্থিতিতে কিন্ডারগার্টেনগুলোর নানা দুর্দশার কথা তুলে ধরেন শিক্ষক নেতারা। সাক্ষাৎকালে নেতাদের উদ্দেশে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আপনাদের ব্যাপারে শুনেছি, এখন আপনারা আসাতে প্রকৃত দুরাবস্থাটা জানতে পারলাম। শিক্ষা উপমন্ত্রী শিক্ষকদের অসহায়ত্বের কথা শুনে সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে শিক্ষকদের দুরাবস্থা নিয়ে আলাপ করে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে আশস্থ করেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, আজ করোনা মহামারীতে কিন্ডারগার্টেন তথা ব্যক্তি মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত। গত ১৭ মার্চ থেকে সরকারী ঘোষণা মতে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করতে না পারায় গত মার্চ থেকে আমরা প্রতিষ্ঠানের গ্যাস, বানিজ্যিকহারে বিদ্যুৎ, পানি বিলসহ কোন কিছুই পরিশোধ করতে পারিনি, বাড়ী ভাড়া, শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দর মাসিক বেতন পরিশোধ করতে পারিনি, বিধায় আমাদের ১০ লক্ষ শিক্ষক আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে। বাড়ীর মালিকদের বাড়ীভাড়ার চাপে ৬০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ আজ দিশাহারা হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেকেই তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য নোটিশ দিয়েছেন, অনেকেই প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র বিক্রি করছেন। খবর এসেছে বাড়ীর মালিকের ভাড়ার চাপে অনেকেই তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছেন। শিক্ষক সমাজের জন্য এটা অত্যন্ত লজ্জা, অসম্মান ও অমর্যাদাকর। যাহা কখনো কাম্য নয় এবং দেশ, জাতীয় জন্য ভবিষ্যৎ অকল্যান বয়ে আনবে। এই সব পরিস্থিতি অগ্রীম আঁচ করতে পেরে সর্বপ্রথম আমিই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি আবেদন করি, এরপর ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করি, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি সাগর রুনি মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করি, ২ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, মেয়র, শিক্ষা সচিব, ২ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সকল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, সকল জেলা প্রশাসক, ইউএনও মহোদয়বৃন্দকে স্মারকলিপি প্রদান করে যে কোন ধরনের আর্থিক সহায়তা কামনা করেছি। আমরা এখনো আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী আমাদের এই দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষায় আমাদেরকে আর্থিক সহায়তা করবেন । সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কারা পরিদর্শক ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মো. আজিজুর রহমান আজিজ, পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো. সাফায়েত হোসেন, মো. আলতাফ হোসেন, মো. আবু ইউনুচ, মো. মাহাবুবুর রহমান দুর্জয়, ক্যাপ্টেন মো. হাসান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি