মহানগর বিএনপির সমাবেশ খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি দিন : শামীম

92

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির এই বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের এতো উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দেশে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। তারা মনে করেছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা ভয় পেয়ে সমাবেশে আসবে না। কিন্তু সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগদান করে সমাবেশ সফল করেছে। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে বিগত ২ বছর ধরে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। তিনি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তির দাবি জানান। শনিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এম এ নাজিম উদ্দিন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। স্বাভাবিক উপায়ে তার মুক্তি দেবে না সরকার। তার মুক্তির জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। খালেদা জিয়া কেবল বিএনপির চেয়ারপারসনই নন, তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নানামাত্রিক উন্নয়নের রূপকার। দেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নীলনকশা অনুযায়ী সাজানো মামলার পাতানো রায়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েও ক্ষান্ত হয়নি সরকার। কারাগারে তাকে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করে অমানুষিক পরিস্থিতির মধ্যে রেখেছে। তার ন্যায্য অধিকার জামিনে মুক্তি আটকে রেখেছে সরকার। কিন্তু এত কিছুর পরও ইস্পাত কঠিন মনোবলের অধিকারী দেশনেত্রীকে একচুল নোয়াতে পারেনি। তার এই কারাভোগ কেবলই রাজনৈতিক কারণে। মামলা হামলা, দমন নিপীড়ন চালিয়ে বিএনপিকে দমন করা যাবে না। অন্যায়কারীরা কেউ রেহাই পাবে না
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী বেগম নুরি আরা ছাফা। মহানগর বিএপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, হাজী মোহাম্মদ আলী, নাজিমুর রহমান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবু ফয়েজ, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল আলম (ডক), জি. এম আইয়ুব খান, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, শিহাব উদ্দিন মুবিন, মোহাম্মদ আলী মিঠু, হামিদ হোসেন, ফাতেমা বাদশা, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, ইব্রাহিম বাচ্চু, এড. পারভীন চৌধুরী, অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়–য়া, শহীদুল ইসলাম শহিদ, আবদুল বাতেন, মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, মো. সেকান্দর, কাউন্সিলর মো. আজম, ডা. নুরুল আবছার, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, আবদুল হালিম স্বপন, মো. সেলিম, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজাহান, রনজিত বড়–য়া, জেলী চৌধুরী, ইসলামইল বাবুল, আরিফ মেহেদী, আবু মুসা, শফিক আহমদ, আলমগীর নূর, হাসেম সওদাগর, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, নূর হোসেন, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাইনু, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গির আলম, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, মো. ইলিয়াছ, কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, আইয়ুব খান, আতিকুর রহমান, মো. তসলিম হোসেন, শাহেদা বেগম, মহসিন আলী, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, আলাউদ্দিন আলী নূর, মনজুর আলম মঞ্জু, মো. সেকান্দর আলম, কাজী সামশুল আলম, এস এম ফরিদুল আলম, হাজী মো. ইলিয়াছ, হাজী মো. মহসিন, জমির আহমেদ, মো. বেলাল, ফারুক আহমেদ, মো. রফিক চৌধুরী, রাসেল পারভেজ সুজন, এম এ মুসা বাবলু, সাদেকুর রহমান রিপন, জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, এস এম আবুল কালাম আবু, এম এ হালিম বাবলু, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম মুনসি, নাসিম আহমেদ চৌধুরী, হাজী আবু ফয়েজ, সাব্বির আহমদ, মো. হাসান, আবু শাহেদ হারুন, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, হাসান ওসমান চৌধুরী, মনজুর কাদের, মনজুর মিয়া, হাজী ইমরান, ফিরোজ খান, আনোয়ার হোসেন আরজু, মামুন আলম, মো. হাসান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি