মহাকাশের বিপদ ডেকে এনেছে ভারত : নাসা

28

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা দাবি করেছে, স্যাটেলাইট ধ্বংস করে ভারত মহাকাশের বিপদ ডেকে এনেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রহস্যজনক আগাম ঘোষণা এবং পরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে ভারতের স্যাটেলাইট ধ্বংসের সক্ষমতা ঘোষণা করেন। তবে নাসা দাবি করছে, ‘মিশন শক্তি’ নামের অপারেশনের মাধ্যমে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নিজেদের স্যাটেলাইট ধ্বংস করে ‘ভয়াবহ কাজ’ করেছেন। তাদের এই অভিযানের কারণে স্পেস স্টেশনের ঝুঁকি বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।২৭ মার্চ বুধবার নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে (বুধবার) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাকাশে তার দেশের নতুন সক্ষমতা ঘোষণা করেন। ‘মিশন শক্তি’ নামের অভিযানের মধ্য দিয়ে স্যাটেলাইট ধ্বংসের পরীক্ষামূলক কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারতের জন্য এ-এক বিশাল মুহূর্ত। তবে নাসার শীর্ষ কর্মকর্তা জিম বার্ডেস্টাইন দাবি করছেন, ভারতের ‘মিশন শক্তি’ অপারেশনের ফলে ৪০০টি উপগ্রহের টুকরো তৈরি হয়েছে মহাকাশে। এবং মহাকাশে উপগ্রহের এমন টুকরো খুবই ‘বিপজ্জনক’। নাসার পক্ষ থেকে জিম আরও দাবি করেন, “উপগ্রহের ৪০০ টুকরোর সবকটার হদিশ মেলেনি। এই মুহূর্তে ৬০টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে।
এই টুকরোগুলি ১০ সেমি বা তারও বেশি আয়তনের। এই ৬০টি টুকরোর মধ্যে ২৪টি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের কক্ষপথে রয়েছে।
তাই গত সপ্তাহে স্পেস স্টেশনের ঝুঁকি বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।” ভারতের ‘মিশন শক্তি’ অপারেশন প্রসঙ্গে নাসার প্রশাসক আরও বলেন, “একটা দেশ যখন এমনটা করল, তাদের দেখাদেখি অন্য দেশগুলোও এ ধরনের অপারেশন করতে চাইবে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।”
ভারতের স্যাটেলাইট প্রতিরোধী অস্ত্র ব্যবস্থা বা এএসএটি যুদ্ধের সময়ে শত্রুপক্ষের যোগাযোগ ও নিরীক্ষণ ব্যবস্থায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটাতে পারে এবং শত্রুপক্ষের অবস্থান সম্পর্কে পুরো সেনাবাহিনীকেই অন্ধ করে দিতে পারে। নির্বাচনের আগে এমন শক্তি ঘোষণার পর বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতি ছিল কিনা। নির্বাচন কমিশনের তরফে এ নিয়ে মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। এনটিটিভি তার আগেই সূত্রের বরাতে জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘোষণার ক্ষেত্রে সরকারের কোনও অনুমতির প্রয়োজন নেই বলে মনে করে সে দেশের নির্বাচন কমিশন।