মশারির ভেতর মশারি টানাবেন না : কাদের

26

পকেট কমিটি করে আওয়ামী লীগকে দুর্বল না করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পকেটের লোকদের নিয়ে কমিটি করলে আওয়ামী লীগ সুবিধাবাদীদের হাতে চলে যাবে। মশারির ভেতর মশারি টানাবেন না। আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। এ কারণে ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে হবে।
রবিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ পাঁচবারের দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কিন্তু বাংলার বাতাসে আবারও চক্রান্তের গন্ধ। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে অশুভ শক্তি। নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি চক্রান্ত করে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশে আর যেন কোনও দিন সা¤প্রদায়িক শক্তি, অন্ধকারের শক্তি ক্ষমতায় না আসতে পারে সেজন্য আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কেন জানি মাঝে মাঝে মনে হয় আওয়ামী লীগে কর্মী কমছে, নেতা বাড়ছে। আমাদের এত নেতা দরকার নেই। আমাদের সাচ্চা কর্মী দরকার। মঞ্চের দিকে তাকালেই বোঝা যায় যে কত নেতা! নেতার অভাব নেই। বিলবোর্ডে সুন্দর সুন্দর ছবি দেখবেন, লোকে চেনেও না! উনি বিলবোর্ডে উজ্জ্বল। এসব দেখতে পাওয়া যায়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা মুজিববর্ষে আওয়ামী লীগে সুবিধাভোগী সন্ত্রাসীকে জায়গা দেবো না। নেতা হতে হলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। মনে রাখতে হবে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ভোগের লিপ্সা ত্যাগ করে আমাদের সত্যিকারের মুজিব সৈনিক হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শের পতাকা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আবারও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আবারও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ডাবলু সরকার। সদ্য বিলুপ্ত কমিটিতেও তারা এই পদে ছিলেন। রবিবার দুপুর ২টায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লিটন-ডাবলুর নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. আবদুল খালেকসহ অনেকে।