মন্ত্রী না হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথা বলছেন মেনন

20

মিরসরাই উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে করেরহাট কেএম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান গিয়াস জসিমের সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিগত নির্বাচনে নাকি জনগণ ভোট দেয়নি। ভোট যদি না হয় তাহলে তিনি এমপি কিভাবে হলেন? এখন তো তার পদত্যাগ করা উচিত। মন্ত্রীত্ব না পাওয়াতে তিনি এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি বিগত নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। জনগণের ভোটে আমি এমপি নির্বাচিত হয়েছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে।
তিনি আরো বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে। মাদকের সাথে জড়িত কেউ যাতে নেতৃত্বে আসতে না পারে সেজন্য তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। বর্তমান সরকার দেশের হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বিভিন্ন ভাতা দিয়ে আসছে। বিএনপি জোট সরকার কোন ভাতা দেয়নি কখনো জনগণকে। ওই সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী হামলা-মামলার শিকার হলেও আমরা ক্ষমতায় এসে তাদের একজন নেতাকর্মীকেও আঘাত করিনি। সম্প্রতি ঘোষিত হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও’র তালিকায় মিরসরাইয়ের ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও লাভ করেছে।
করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, সদস্য মহিউদ্দিন রাশেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এসএম আবুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক শাখাওয়াত উল্ল্যাহ রিপন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, সদস্য আমজাদ হোসেন সুজন প্রমুখ। এসময় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে সুলতান গিয়াস জসিম ও সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ সেলিমের বিপরীতে আর কোন প্রার্থী না থাকায় দু’জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
একই দিন বিকেলে ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার সভাপতি নির্বাচিত হন ফরিদুল হাসান টিপু ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ফজলুল কবির ফিরোজ।