মধ্যবর্তী নির্বাচন করতে সরকারকে বাধ্য করবো

50

মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য সরকারকে বাধ্য করার কথা জানালেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
তিনি বলেছেন, জনগণকে সাথে নিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন করতে সরকারকে বাধ্য করবো। আগামী তিন মাসে দেশের প্রতিটি জেলায় সফর করে জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করবো। এভাবে দেশ চলতে পারেনা। রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। অতএব কাউকে লুটপাট করে খেতে দিবোনা। দেশবাসীকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে যেতে চাইনা।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম মহানগর এলডিপি’র উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কর্নেল অলি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে কেউ বিশটি দালানের মালিক, কেউ পঞ্চাশটা দালানের মালিক। আগে যাদের রিকশা চড়ার পয়সা ছিলনা এখন তারা লেটেস্ট গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করে। তারেক রহমান লন্ডনে থাকলেও দেশের মানুষের খবর নেওয়ার জন্যচেষ্টা করেন। কিন্তু তার পক্ষে দেশের মানুষের বাস্তব অবস্থা জানা সম্ভব না। বর্তমানে কৃষকের মাঠের ধান ঘরে উঠাচ্ছেনা। মাঠেই ধান জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তাহলে বোঝা যায় কৃষকেরা কি কষ্টে আছে। ডলারের দাম প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে। অর্থনীতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যে কোন সময় ধস নামতে পারে। যতগুলো ব্যাংক বাংলাদেশে রয়েছে ১৮ কোটি লোকের এতগুলো ব্যাংকের প্রয়োজন ছিলনা। সাধারণ জনগণের গচ্ছিত টাকাগুলো নিয়ে কেউ মালেশিয়া, কেউ কানাডা, সিঙ্গাপুর চলে যাচ্ছে।
এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে ৭ লক্ষ হাজার কোটি টাকা থাকার কথা থাকলেও ৩ লক্ষ হাজার কোটি টাকাও নাই। বাকি টাকা সব উধাও। তাই ব্যাংকিং ব্যবস্থাতেও যে কোন সময় ধস নামতে পারে। দেশে আইন শৃংখলা নাই। প্রধান বিচারপতিকে যেভাবে গর্দান ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমার আপনার অবস্থা কি হতে পারে সেটা কল্পনীয় নয়। গত নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন কিভাবে ভোট হয়েছে। প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগ, ভোটার ছিল পুলিশ বিজিবি। ভোটের সাথে জনগণের কোন সম্পৃক্ত ছিলনা। এখন যারা এমপি আছে তারা পুলিশ প্রশাসনের এমপি, জনগণের এমপি নয়। বর্তমান সরকারের সাথে সাধারণ জনগণের কোন সম্পৃক্ততা নেই। বিভাবে চাঁদাবাজি দুর্নীতি হয়েছে অন্ধকারে ভোট হয়েছে আপনারা দেখেছেন। এটা নজিরবিহীন ঘটনা।
তিনি বলেন, হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা হয়েছে। অনেকে জেলে রয়েছে, অনেকে এখনও জামিন পায় নাই। এই অবস্থায় বিএনপির লোকেরা শুট ট্রাই পরে সংসদে গিয়ে আত্মসমার্পণ করে এই সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। এর থেকে লজ্জার বিষয় আর কিছু হতে পারেনা। শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক দলের সাথে বর্তমানে কেউ ছিলনা। ১৯৭৭ সালে বিএনপির নাম আমি ঠিক করেছিলাম। বিএনপি যখন গঠন হয় সমগ্র বাংলাদেশের তালিকা আমি গঠন করেছিলাম। আজকে যারা বড় বড় কথা বলে তারা সে সময় ছিলনা। মাঝপথে এসে জড়িত হয়েছে। বেগম জিয়া জেলে। নেতারা হাসিমুখে শুট পরে ঘুরে বেড়ায়। সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিএনপি যদি নেতৃত্ব দেয় আমরা তাদের পিছনে কাজ করবো। না হলে আমাদের পিছনে আসতে তাদের আহবান জানাবো।
মিরসরাই থানা এলডিপির আহবায়ক শামসু উদ্দিন নিজামীর কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে মাহফিলের সূচনা হয়। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা এলডিপি’র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুলের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা এলডিপি’র সভাপতি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এডভোকেট দিপেন দেওয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক এস. এম. নিজাম উদ্দিন হারুন, উত্তর জেলা কল্যাণ পার্টির সভাপতি দিদারুল আলম, এলডিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফজলুল কাদের তালুকদার, এলডিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাজাহন চৌধুরী, এলডিপি চট্টগ্রামের আহবায়ক আনোয়ার সাদেক, চট্টগ্রাম মহানগর জাগপার সভাপতি আবু মুজাফর মো. আনাছ, চট্টগ্রাম মহানগর কল্যাণ পার্টির সভাপতি মো. ইলিয়াস, মহানগর এলডিপির সাংগঠনিক সম্পাদক দোস্ত মোহাম্মদ, রাঙামাটি জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, সাবেক ছাত্রদল নেতা এয়াছিন লিটন, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নাসির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনছুর আহমদ, যুবদল মহানগর শাখার আহবায়ক আজাহারুল ইসলাম অপু, দক্ষিণ জেলা গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি মো. একরাম, সদস্য সচিব সাইদুল, এলডিপি দক্ষিণ জেলার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আকতারুল আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি