‘মডেল ফ্লোর’ হবে মেমন হাসপাতালে

59

প্রায় ২১ বছর আগে স্থাপিত হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচালিত মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল ভবন। অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিঘ্নিত হয়ে আসছিল স্বাস্থ্য সেবা। বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্নভাবে উন্নয়ন কাজ করা হলেও সুফল মিলেনি। হাসপাতালে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গতকাল ডাক্তার-নার্সদের সাথে মতবিনিময় করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ সময় তিনি হাসপাতালের প্রতিটি কেবিন পরিদর্শন করেন। একই সাথে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান এবং একটি ‘মডেল ফ্লোর’ করার আশ্বাস দেন মেয়র।
গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের ইপিআইকেন্দ্র, প্রসূতি রোগীদের আউট ডোর, শিশু আউট ডোর, জেনারেল কেবিন, ভিআইপি কেবিন ও ডিলাক্স কেবিন পরিদর্শন করেন। এসময় মেয়র কেবিনে অবস্থানরত রোগী এবং তাদের স্বজনদের সাথে সেবা নিয়েও কথা বলেন। তারা হাসপাতালে সেবার মানন্নোয়ন, কেবিন নবরূপে সজ্জিতকরণ এবং ওয়াশরুম আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন দাবি জানান মেয়রের কাছে। মেয়র হাসপাতালের সৌন্দর্যবর্ধনের উপর গুরুত্বারোপ করে উন্নতমানের কেবিন, আলোকায়ন এবং ওয়াশরুম সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন। তিনি মডেল ফ্লোর হিসেবে প্রথমে একটি ফ্লোরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য তিনমাসের সময় বেঁধে দেন সংশ্লিষ্টদের।
হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরে প্রসূতিদের পছন্দ মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল। এই হাসপাতালকে নবরূপে সজ্জিত ও আধুনিকায়ন করে পূর্বের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার প্রীতি বড়ুয়া পূর্বদেশকে বলেন, এক সময় মাতৃসদন হাসপাতাল হিসেবে মডেল হাসপাতাল ছিল এটি। কিন্তু কালক্রমে ঝিমিয়ে পড়েছে হাসপাতালটির কার্যক্রম। এটিকে পুরনো ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনতে সংস্কার প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে প্রায়শঃ আমরা বিচ্ছিন্নভাবে সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতা চাইতাম এবং পেতামও। তবে সামগ্রিক সুফলটা মিলছিল না। সমস্যাগুলো সরেজমিনে দেখার জন্য মেয়র মহোদয়কে হাসপাতাল পরিদর্শনের অনুরোধ জানানো হয়। তিনি এসেছেন এবং ৩ ঘণ্টা ধরে প্রতিটি কেবিন পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যুতের সমস্যার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ, সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মকর্তাসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। তাদের সবকিছু তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন এবং ৩ মাসের মধ্যে সমাধানের নির্দেশও দিয়েছেন। ওনার সময়ে মেমন হাসপাতালে অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে এবং আশা করছি ওনার হাত ধরে আবারো ঘুরে দাঁড়াবে মেমন হাসপাতাল।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আকতার চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার প্রীতি বড়ুয়া ও হাসপাতালের ইনচার্জ ডাক্তার আশীষ মুখার্জি। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চসিক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ,নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া প্রমুখ।