মক্কা প্রদেশে হুতি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের দাবি সৌদির

38

মক্কা প্রদেশে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সৌদি আরব। সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র দুটি মক্কা প্রদেশের জেদ্দা ও তায়িফের কাছাকাছি প্রতিহত করা হয় বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ-র বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। “রাজকীয় সৌদি প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রদেশটির জেদ্দা ও তায়িফের সংরক্ষিত এলাকার উপরে উড়ন্ত বস্তু চিহ্নিত করে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী সেগুলোর মোকাবিলা করে,” সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব জোট বাহিনীর এক মুখপাত্র এমনটি বলেছেন বলে জানিয়েছে এসপিএ।
এক টুইটে সৌদি আরবের ওয়াশিংটন দূতাবাস জানিয়েছে, মক্কা প্রদেশের জেদ্দা ও তায়িফে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করা হয়েছে। সৌদি আরবের আল আরাবিয়া টেলিভিশন প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার সকালে জানিয়েছে, জেদ্দা ও তায়িফের পশ্চিমে দুটি শহরের ওপর দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিপথ মক্কা শহরের দিকে ছিল বলে কোনো প্রমাণ ছাড়াই জানিয়েছে তারা।
মক্কা শহর লক্ষ্য করে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছে হুতিরা। সৌদি আরব নিজেদের যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায় করার লক্ষে এমন কৌশল নিয়েছে বলে অভিযোগ হুতিদের। ফেইসবুকে হুতি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া বলেছেন, “এসব অভিযোগ করে সৌদি সরকার ইয়েমেনের মহান জনগণের বিরুদ্ধে তাদের নৃশংস আগ্রাসনের পক্ষে সমর্থন আদায় করার চেষ্টা করছে।”
ইসলামের পবিত্র নগরী মক্কার অবস্থান জেদ্দা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার ও তায়িফ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে। প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে ২০ লাখেরও বেশি মুসলিম মক্কায় হজ করতে যান। অনেক রমজান মাসেও এই শহরটিতে ভ্রমণ করে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র পারস্য উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইরানের তীব্র উত্তেজনা চলার মধ্যেই ইরান সমর্থিত হুতিরা সৌদি আরবে পরপর কয়েকটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। রোববার হুতিদের পরিচালিত বার্তা সংস্থা এসএবিএ জানিয়েছে, সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও ইয়েমেনে সৌদি জোট বাহিনীর সদরদপ্তর ও স্থাপনাগুলোসহ ৩০০ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যস্থলে অভিযান শুরু করবে তারা।
গত মঙ্গলবার সৌদি আরবে আরামকো তেল কোম্পানির দুটি অয়েল পাম্পিং স্টেশনে ড্রোন হামলা হয়। হুতি গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করে। হুতিদের এ হামলার নির্দেশ তেহরান দিয়েছে বলে অভিযোগ রিয়াদের। তবে এসব হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা ইরান অস্বীকার করেছে।