ভয়াবহ রূপ নিয়েছে মাতামুহুরী তীরবর্তী কাকারার পরিস্থিতি

26

চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর কূলবর্তী কাকারা ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে পাহাড়ি ঢলে কাকারা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সবক’টি ওয়ার্ডই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ইউনিয়নের ২৫ হাজার লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রায় ৫ হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় এসব পরিবারের চুলার রান্নাবান্না সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে খাবার ও বিশুদ্ধ পানীয় জল নিয়ে এসব লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ জাফর আলম ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে সাড়ে ৮ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্য থেকে অত্যাধিক ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের তালিকা তৈরি করে সরকারি এসব ত্রাণ সহায়তা তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
এদিকে বন্যার পানি বেড়ে গিয়ে কাকারা ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় গতকাল রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হাঁটুপানি পাড়ি দিয়ে বন্যাকবলিত এসব লোকজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান। এসময় বানবাসী লোকজন তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরেন।
কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রবল বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তার ইউনিয়নের অন্তত ২৫ হাজার লোক পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এছাড়া প্রায় ৫ হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় এসব পরিবারের চুলায় রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গিয়ে খাবার ও বিশুদ্ধ পানীয় জল নিয়ে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ জাফর আলম ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়ে ৮ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্য থেকে অত্যাধিক ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের তালিকা তৈরি করে সরকারি এসব ত্রাণ সহায়তা তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান আরও বলেন, কাকারা ইউনিয়নে বন্যায় যে পরিমাণ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে তুলনায় বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। তাই প্রথমে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের তালিকা তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের এসব চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। বিষয়টি চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুনরায় বরাদ্দ পাওয়া গেলে ওইসব বরাদ্দ ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য লোকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।