ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে প্রতারণা দুইজন গ্রেপ্তার

38

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে প্রতারণা করতে গিয়ে জনতার রোষানলে পড়ে অবশেষে ধরা পড়েছে এক প্রতারক চক্র। গতকাল বুধবার রাতে নগরীর আকবর শাহ থানাধীন কর্ণেলহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় জনতার হাতে আটক হওয়া সৈয়দ মিজান উল্লাহ (৩৮) এবং তার সহযোগী ফারদিন আহমেদ (২৪)কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া মিজানের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলায়। ফারদিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্ণেলহাট এলাকায় একটি হারবাল প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালাতে গিয়েছিল গ্রেপ্তারকৃতরা। প্রতারক চক্রটি একটি গাড়িতে করে আসে। পারভীন নামের একজন কথিত ম্যাজিস্ট্রেট সেজে গাড়িতে বসে থাকেন। তার স্বামী গ্রেপ্তার হওয়া মিজান উল্লাহ পেশকার সেজে অভিযানে সহযোগিতা করেন। ঘটনাস্থলে অভিযান চালানোর নামে প্রথমে মিজান ও ফারদিন প্রতিষ্ঠানে ঢুকে অভিযানের কথা জানায়। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ভয় পেয়ে যান। তখন মিজান জানান, ম্যাজিস্ট্রেট ম্যাডাম বলেছেন ২০ হাজার টাকা দিলে অভিযান হবে না। তখন প্রতিষ্ঠানটির লোকজন প্রতারকদের ম্যাজিস্ট্রেট ভেবে ৫ হাজার টাকা দেন। এরপরও সেই টাকা না নিয়ে ২০ হাজার টাকার জন্য আবারও চাপ দিতে থাকলে একপর্যায়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তখন মিজান ওই প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তাকে ধাক্কা দেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে মানুষ জড়ো হয়ে মিজান ও ফারদিনকে ধরে ফেলে। এসময় অবস্থা বেগতিক দেখে পারভীন দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
আকবর শাহ থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মিজান উল্লাহ ও পারভীর আকতার স্বামী-স্ত্রী। পারভীন ম্যাজিস্ট্রেট সাজেন, তার স্বামী মিজান সাজেন পেশকার। ফারদিন তাদের কথিত আদালতের সহায়ক। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তারা নগরীর বিভিন্ন স্থানে এভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে প্রতারণা করে আসছিল। এর আগে তারা প্রতারণা করতে গিয়ে নগরীর হালিশহর, বন্দর এবং সাতকানিয়া থানাতেও গ্রেপ্তার হয়েছিল। মাইক্রোবাসে করে ঘুরে ঘুরে নগরীতে কথিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে দেন।’ ওসি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। পালিয়ে যাওয়া পারভীনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।