‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী

34

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ সম্মাননা দিয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা জিএভিআই। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিতে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য তাকে এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
জিএভিআই-এর পুরো নাম গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন। এটি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স নামেও পরিচিত। টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে দুনিয়াজুড়ে বিপুলসংখ্যক শিশুর জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখছে সংস্থাটি। নিজের বক্তব্যে শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার প্রশংসা করেন ড. এনগোজি অকোনজো। নাইজেরিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এনগোজি অকোনজো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও টুইটারের অন্যতম বোর্ড সদস্য।
তিনি বলেন, যারা শিশুদের জীবন রক্ষায় জরুরি টিকাদানে উদ্যোগী হয়েছেন এবং কোনও শিশু যাতে বাদ না পড়ে, তা নিশ্চিতে কাজ করেছেন তাদের জন্যই এই পুরস্কার। কেবল টিকাদানই নয়, শিশু অধিকার এবং নারীর ক্ষমতায়নেও শেখ হাসিনা একজন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
পুরস্কার গ্রহণের পর বাংলাদেশের জনগণের প্রতি এ সম্মাননা উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজ আমি যে পুরস্কার পেয়েছি এটি আমার নয়, এটি বাংলাদেশের জনগণের এবং আমি তাদের এই সম্মাননা উৎসর্গ করছি।
লিখিত বক্তব্যে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ‘সবার জন্য ভ্যাকসিন’ কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সহায়তায় সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যেও টিকাদান কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম প্রমুখ।