মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিইসির নেতৃত্বে যে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছিল ঠিক তেমনিভাবে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনে ভিসির নেতৃত্বে আর একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে। দীর্ঘ ২৮ বছর পর শিক্ষার্থীরা অপেক্ষায় ছিলেন ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশ ঘটাবেন। কিন্তু নির্লজ্জভাবে সরকার ভিসির মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত এখানেও ভোট ডাকাতি ও জালিয়াতি করেছে। এতে বুঝা যায় ভোট ডাকাতি ইস্যুতে ইসি ও ভিসি একই সূত্রে গাঁথা।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কলঙ্কিত করে মিডনাইট নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে পরিবেশের নামে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সরকার যে প্রতারণা করেছে তা আজ ভোট ডাকাতি, হল দখল ও ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিচুর রহমান অনিক, কোটা সংস্কার আন্দোলন নেতা ভিপি প্রার্থী নুরু সহ অন্য ছাত্রদের উপর হামলায় প্রমাণিত হয়েছে। শুধু তাই নয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত আগের রাতে ব্যালট পেপার সিল মেরে বাক্সভর্তি করেছে।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনে জনগণের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে।
গণতন্ত্রের সব পথ রুদ্ধ করেছে। দেশের মানুষের গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই। আইনের শাসন নেই, ভোটাধিকার নেই, মানবাধিাকার নেই, মানবিকতা নেই। আছে শুধু ভোট ডাকাতি ও জালিয়াতি, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন এবং একদলীয় শাসন।
তিনি গতকাল সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে ৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হওয়ার পরে কোতোয়ালী থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে দায়েরকৃত ২৭ (২) ২০১৮ইং তারিখের মামলায় হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এসময় আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন, আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এসএম বদরুল আনোয়ার, এডভোকেট তাকের আহমেদ, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট জহিরুল আলম, এডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি
