ভোটের মাঠে ৩০ নারী

49

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯জন নারী নির্বাচনী মাঠে আছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে এসব প্রার্থীরা স্ব-স্ব উপজেলায় প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে বিনাভোটে জয় নিশ্চিত হয়েছে পাঁচ প্রার্থীর। বাকি ২৫ প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভোটের মাঠে থাকা নারী প্রার্থীদের মধ্যে আছেন আইনজীবী, শিক্ষিকা, চাকুরীজীবী, গৃহিণী, ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী। শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্নাতকোত্তর চারজন, স্নাতক সাতজন, এইচএসসি চারজন, এসএসসি তিনজন ও স্বশিক্ষিত আছেন সাতজন প্রার্থী।
এবারের নির্বাচনে প্রার্থিতা উন্মুক্ত থাকার কারণে সরাসরি কেউ দলীয় প্রার্থী না হলেও বেশিরভাগ প্রার্থীই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। যেখানেই নিজেদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে, সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি উপজেলাগুলোতে একের অধিক প্রার্থী থাকায় জমজমাট ভোটযুদ্ধ হবে। ভোটাররাও প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
জানা যায়, পটিয়ায় মাজেদা বেগম, আনোয়ারায় মরিয়ম বেগম, মিরসরাইয়ে ইসমত আরা, রাঙ্গুনিয়ায় মনোয়ারা বেগম, রাউজানে ফৌজিয়া খানম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। বাকি উপজেলাগুলোর মধ্যে চন্দনাইশে চারজন, ফটিকছড়িতে তিনজন, বাঁশখালীতে দুইজন, বোয়ালখালীতে তিনজন, লোহাগাড়ায় চারজন, স›দ্বীপে তিনজন, সীতাকুন্ডে তিনজন, হাটহাজারীতে দুইজন প্রার্থী মাঠে আছেন। চেয়ারম্যান পদে পটিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আফরোজা বেগম।
সূত্র জানায়, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নারীদের মধ্যে এবার শিক্ষিত প্রার্থী বেশি। পেশাগতভাবেও অনেক প্রার্থী স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। চন্দনাইশে প্রজাপতি প্রতীকের প্রার্থী কামেলা বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসসি, এলএলবি এবং আইন পেশায় যুক্ত তিনি। গোলাপফুল প্রতীকের প্রার্থী খালেদা আক্তার চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক। তিনি কমিশন ব্যবসার সাথে যুক্ত। হাঁস প্রতীকের প্রার্থী শাহানাজ বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। তিনি মুন ডায়গনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত। কলস প্রতীকের প্রার্থী সঞ্চিতা বড়ুয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। তিনি এমব্রোডারি ও পরিবহন ব্যবসার সাথে যুক্ত।
ফটিকছড়ির প্রজাপতি প্রতীকের প্রার্থী জেবুন নাহার স্বশিক্ষিত এবং পেশায় একজন ব্যবসায়ী। কলস প্রতীকের প্রার্থী শারমীন আক্তারের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি এবং পেশায় গৃহিণী। গোলাপফুল প্রতীকের প্রার্থী রাজিয়া মাসুদের হলফনামা পাওয়া যায়নি।
বাঁশখালীতে প্রজাপতি প্রতীকের প্রার্থী নুরী মন আক্তারের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। পেশায় উল্লেখ করেছেন স্বামীর ব্যবসায়িক আয় ও পৈত্রিক সম্পত্তি। ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী রেহেনা আকতার কাজমীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক এবং পেশায় গৃহিণী।
বোয়ালখালীতে প্রজাপতি প্রতীকের প্রার্থী শামীম আরা বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি এবং পেশাগতভাবে বেসরকারি চাকরি করেন। ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সাহিদা আক্তারে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ এবং পেশায় গৃহিণী। কলস প্রতীকের প্রার্থী সুপর্না ভঞ্জের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ। ঠাকুরবাড়ি গেটে এই প্রার্থীর নামে একটি অটো রাইস মিল আছে।
লোহাগাড়ায় ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী জেছমিন আকতারের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বশিক্ষিত এবং পেশায় গৃহিণী। কলস প্রতীকের প্রার্থী জেসমিন আক্তারের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি এবং পেশা গৃহিণী। প্রজাপতি প্রতীকের প্রার্থী পারভিন আক্তার স্বশিক্ষিত হলেও তিনি পেশায় বীমাকর্মী হিসেবে বীমা কোম্পানিতে বীমা করিয়ে দেন।
স›দ্বীপে কলস প্রতীকের প্রার্থী জেবুন নেছার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসএস এবং তিনি গৃহিণী। হাঁস প্রতীকের প্রার্থী মোছাম্মৎ ফরিদা বেগম নাজমা অষ্টম শ্রেণি পাস। পেশাগতভাবে জুমি এন্টারপ্রাইজ নামে যুক্ত এই প্রার্থী ময়দা, চিনি, তেল, ঘি বেকিং পাউডারসহ অন্যান্য বেকারি সামগ্রী কমিশনের ভিত্তিতে সরবরাহকারী। ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোছাম্মৎ লুৎফুনাহার স্বশিক্ষিত এবং পেশায় গৃহিণী।
সীতাকুন্ডে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী কামরুন্নাহার নীলুর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বশিক্ষিত। পেশায় স্বদেশ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব রক্ষক। গোলাপফুল প্রতীকের প্রার্থী জয়নাব বিবির শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। পেশাগতভাবে তিনি রুশ্নী বিউটি পার্লারের সাথে যুক্ত। কলস প্রতীকের প্রার্থী রহিমা আক্তার ডলির শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেণি। পেশাগতভাবে তিনি কমিশন এজেন্ট ও বিউটি পার্লারের সাথে যুক্ত।
হাটহাজারীর কলস প্রতীকের প্রার্থী মোক্তার বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসএস। নগরীর হিলভিউতে ঢাকা ট্রাস্ট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক তিনি। হাঁস প্রতীকের প্রার্থী সাজেদা বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসএস। পেশাগতভাবে তিনি সমাজ ও মানবাধিকার কর্মী।
আনোয়ারার একমাত্র প্রার্থী মরিয়ম বেগম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া স্বশিক্ষিত এই প্রার্থীর পেশা সমাজসেবা। পটিয়ার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া প্রার্থী মাজেদা বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ। তিনি পেশায় একজন সমাজকর্মী। মিরসরাইয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়া প্রার্থী ইসমত আরার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি এবং পেশায় গৃহিণী। রাঙ্গুনিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়া মনোয়ারা বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বশিক্ষিত। তিনি কমিশন ব্যবসার সাথে যুক্ত। রাউজানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়া ফৌজিয়া খানমের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ এবং পেশায় গৃহিণী।