ভোগ্যপণ্য মজুদের হিড়িক, বাড়ছে দাম

46

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় নগরবাসীর মনে সৃষ্ট উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে ভোগ্যপণ্য মজুদের হিড়িক পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শে মানুষ পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে কেনার চেষ্টায় সুযোগ নিচ্ছে বিক্রেতারা। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে তারা প্রতিটি পণ্যে নিচ্ছে অধিক দাম।
গত সপ্তাহজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করেছে চালের বাজারে। পাইকারি বাজারে গতকাল শুক্রবার (২০ মার্চ) বস্তাপ্রতি দাম ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একইসঙ্গে তেল, মরিচ, ডাল, গুঁড়ো দুধসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে।
চালের পাইকারি বাজার চাক্তাইয়ে মোটা আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে ১৬শ টাকা, বেতি আতপ ২ হাজার টাকা, মিনিকেট সিদ্ধ ১৯শ টাকা, মিনিকেট আতপ ২ হাজার ১৫০ টাকা, কাটারি আতপ ২৭শ টাকা, সিদ্ধ (মোটা) ১৬শ টাকা, স্বর্ণা (সিদ্ধ)১ হাজার ৯৫০ টাকা, গুটি সিদ্ধ ১৮শ টাকা, জিরাশাইল ২৫শ টাকা এবং পাইজাম সিদ্ধ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়।
খুচরা বাজারে নিত্যপণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা, আদা ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা, রসুন ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৫-১০ টাকা বেড়ে ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৫৭০ টাকা। শুকনো খাবারের মধ্যে চিড়া, ছোলার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা মো. ইদ্রিস বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের সংকট নেই। করোনা ভাইরাস ছড়ানোয় মানুষের মাঝে কেনাকাটার ধুম পড়ে গেছে। তাই সুযোগসন্ধানীরা নিত্যপণ্যে বাড়তি দাম রাখছে।
রেয়াজউদ্দিন বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০-২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, বেগুন ৩৫ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দামও গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। রুই ২৫০ টাকা, কাতাল ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, ছোট ইলিশ ৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬৫০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে মাংসের দাম তেমন বাড়েনি। ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে।