ভেনেজুয়েলায় বিদ্যুৎ না থাকায় ১৭ জনের মৃত্যু

54

ভেনেজুয়েলায় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে এই ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দায়ী করছেন বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদো। রবিবার তিনি দাবি করেন, এখন পর্যন্ত এই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভেনেজুয়েলা। নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্র্বতীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। এরপরই তাকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ। এরপর গত ৮ মার্চ অর্ধেকেরেই বেশি জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দেশটির ২৩টির মধ্যে ১৮টি রাজ্যেই অন্ধকারে কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সরকারবিরোধীরা এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, এই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে হাসপাতালগুলো। গুয়াইদো বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে প্রাণ হারানো ১৭ জনকে মূলত মাদুরা সরকার ‘হত্যা’ করেছে। তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলা একদম ধসে পড়েছে। এরই ফল হচ্ছে বø্যাকআউট। গুয়াইদো বলেন ‘হাসপতালে কোনও সেবা নেই। দেশের সেরা হাসপাতালগুলোর এই অবস্থা। যদি রাজধানীতে এই অবস্থা হয়, তাহলে প্রত্যন্ত এলাকায় কি অবস্থা। সেখানে জ্বালানি নেইম, মৌলিক জিনিরস নেই। নেই যোগাযোগের ব্যবস্থা। তাই সজ্ঞানে আপনি বলতেই পারেন যে ভেনেজুয়েলা ভেঙে গেছে।’
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাতাকরে তিনি দাবি করেন, এখন পর্যন্ত ১৭টি হত্যাকান্ডের খবর পেয়েছে বিরোধীদল। তিন বলেন, আমি আর কিছু বলতে পারছি না। কল্পনা করুন, আপনি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে জানছেন যে চারদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরি হয়েছে এবং ১৭ জন মারা গেছেন। এটা নিঃসন্দেহে হত্যা।’
মাদুরো এই ব্ল্যাকআউটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারাপ করছেন। তিনি দাবি করেন, শনিবার দেশটির বিদ্যু উৎপাদন কেন্দ্রে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালিয়ে সেটা নষ্ট করেছেন। তবে গুয়াইদোর দাবি, মাদুরো সরকারের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। ভেনেজেুয়েলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনকে পুরোনা। অ্যানালগ এই মেশিনগুলো কোন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত নয়। তিনি বলেন, আমরা এমন এক সংকটের মধ্যে আছি যা আসলে ঘূর্ণিঝড় কিংবা সুনামি থেকে সৃষ্টি নয়। এটা অক্ষমতা ও দুর্নীতির কারণে সৃষ্ট। এই ভেনেজুয়েলানদের জীবনের মূল্য নেই এই সরকারের কাছে।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে গুয়াইদো বলেন, তিনি সোমবার পার্লামেন্টেরে বিশেষ সেশনে জরুরি অবস্থা জারির আহব্বান নাবেন। ইতোমধ্যে জার্মানি, জাপান, ব্রাজিল ও কলম্বিয়ার সঙ্গে সহায়তার ব্যাপারে কথা হয়েছে তার। গুয়াইদোর দাবি, ভেনেজুয়েয়ায় সহায়তার জন্য ১৫০ কোটি ডলার দিতে রাজি বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু এই সহায়তা কিভাবে জনগণের কাছে পৌঁছাবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।