ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার তাগিদ

14

বিভাগীয় আইনশৃংখলা কমিটির সভায় ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় না দেয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো.মাহাবুবুর রহমান, বিজিবির জোনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, কমান্ডার এম শরিফুল হক খান, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো মুনির হাসান, জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, কক্সবাজাররে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, মাদকদ্রর‌্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ বলেন, ভেজাল খাদ্য মানবদেহকে ধ্বংস করে। ভোক্তা হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই এর সাথে সংযুক্ত। খাবারে ভেজাল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কর্মকাÐ। দেশের সকল পর্যায়ের মানুষকে ভেজালবিরোধী অভিযানে সম্পৃক্ত করতেত হবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে ভেজালবিরোধী অভিযানে সহযোগিতা করার জন্য তিনি জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
সভায় জানানো হয়, ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন রোধে বিগত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে একশ’ ৭৫ টি অভিযান পরিচালনা এবং ৩২১টি মামলা রুজু করে ৩৩ লক্ষ ৭৩ হাজার তিনশত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একশ’ ৭২টি অভিযান পরিচালনা ও ৩২৯টি মামলা রুজু করে ৩১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। এতে দুই লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
সভায় আরো জানানো হয়, মাদক চোরাচালান ও বিপণন রোধে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলায় ডিসেম্বর-২০১৯ মাসে ১৯৯টি অভিযান পরিচালনা করে ২৬৬টি মামলা দায়ের করে এক লক্ষ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ১১৯টি অভিযান পরিচালনা করে ২৮৩টি মামলা দায়ের করে এক লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসে মামলা সংখ্যা ১৭টি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৪৩হাজার টাকা জরিমানা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ভালো। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। বে-আইনি অস্ত্র ব্যবহার কমে এসেছে। এছাড়া, মাদক চোরাচালান ও বিপণন রোধের মাধ্যমে সমাজকে মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আরো সহযোগিতা দেয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়।