ভূমি রেজিস্ট্রেশনে দুর্নীতির দায় নেবে না মন্ত্রণালয়

47

নিবন্ধন অধিদপ্তরের কোন কাজের তথা ভূমি রেজিস্ট্রেশনে দুর্নীতির দায় ভূমি মন্ত্রণালয় নেবে না। তারা (সাব-রেজিস্ট্রারগণ) আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করেন। আমি ইতোমধ্যে প্রস্তাব দিয়েছি যেন নিবন্ধন অধিদপ্তরকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রদান করা হয়।
জনস্বার্থে তাদেরকে (নিবন্ধন অধিদপ্তর) হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আসতে হবে না হলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাথে প্রতিটি ক্ষেত্রে সহমতে থেকে কাজ করতে হবে। গতকাল বুধবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিং চলাকালে টিআইবি এর সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এসব কথা বলেন।
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার ভূমিমন্ত্রীর সাথে তাঁর কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বেসরকারি খাত একত্রীকরণ কর্মকর্তা রেবেকা রবিনসন এ সময় রাষ্ট্রদূতের সাথে ছিলেন। ভূমি সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী এ সময় ভূমিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও এর ডিজিটালাইজেশনের বিভিন্ন পরিকল্পনার ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত এ সময় ভূমিমন্ত্রীকে ভূমি উন্নয়ন বিষয়ক যে কোনো সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের তদারকির কারণে দুর্নীতি করা এত সহজ হচ্ছে না। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি ভূমি সেক্টরে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের দুর্নীতি এখন একেবারে কমে এসেছে। আমরা এখন মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতি কমানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় একটি সেবামুখী মন্ত্রণালয়। ভূমি ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় হয়ে গেলে দুর্নীতির পরিমাণ কম হবে ও উন্নত সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করে আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, বোস্টন ও হার্ভার্ড সহ নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কনফারেন্সে উদীয়মান বাংলাদেশের ব্যাপারে আলোচনা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রদের ‘সুপারস্টার’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা (তাদের জীবন) আমেরিকান সফলতার গল্পের চিরায়ত উদাহরণ। বিদেশে কাজ করা বাংলাদেশী শ্রমিকদের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন তারা খুবই পরিশ্রমী ও বিশ্বস্থ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাংলাদেশের ৫০ বছরের স্বাধীনতা উদযাপনে সহায়তা প্রদানের আশা ব্যক্ত করছি।
শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা যদি কোন ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারি, আমাদের জানাবেন। ভূমিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতার প্রস্তাবে তাকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকেরপর ভূমিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিং করেন। মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পর তার কর্মকান্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। বিজ্ঞপ্তি