ভাসানচরের অদূরে ডুবেছে পণ্যবাহী দুটি জাহাজ

61

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে যাওয়ার পথে নোয়াখালীর ভাসানচরের অদূরে বঙ্গোপসাগর এলাকায় গম ও ভুট্টাবাহী দুটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। এরমধ্যে খাজা বাবা ফরিদপুরী নামে একটি জাহাজ পুরোপুরি ডুবে গেছে, এন ইসলাম নামে অন্যটির বেশিরভাগ অংশ ডুবে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে পৃথক এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় একজন নাবিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ দুটির প্রথম জাহাজটিতে গম এবং দ্বিতীয় জাহাজটিতে ভুট্টা ছিল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী নদী দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে গম নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্য যাত্রা করেন খাজা বাবা ফরিদপুরী নামে একটি লাইটার জাহাজ। জাহাজটি ভাসানচর অতিক্রম করার সময় তলা মাটিতে আটকে যায়। এতে তলা ফেটে জাহাজটি পানিতে ডুবে যায়। এ সময় জাহাজটির ১৩ জন নাবিকের মধ্যে ১২ জন আশপাশের জাহাজে ওঠে রক্ষা পান। কিন্তু একজন নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন। তার নাম জানা যায়নি। এ জাহাজটিতে এক হাজার ৭০০ টন গম ছিল। এসব গম বসুন্ধরা গ্রুপ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করে লাইটার জাহাজে করে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করছিল।
অপরদিকে এন ইসলাম জাহাজটি দুর্ঘটনা ঘটে ওইদিন দুপরের দিকে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে যাত্রা হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্য আরেকটি জাহাজের সাথে সংঘর্ষে জাহাজটির তলা ফেটে যায়। এ সময় জাহাজের চালক ভাসানচরের দিকে জাহাজটি নিয়ে যায়। এই জাহাজটির ১৩ জন নাবিক নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজে ওঠে রক্ষা পান।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম জানান, খাজা বাবা ফরিদপুরী জাহাজটি ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিল। ভাসানচর বয়ার এক নটিক্যাল মাইল পূর্বে গিয়ে জাহাজটি ডুবে যায়। এতে ১৩ জন নাবিক ছিল। ১২ জন উদ্ধার হয়েছে। একজন নাবিক এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ ছিলেন।
ভাসানচরের কাছাকাছি এলাকায় আরেকটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘এন ইসলাম’র তলা ফেটে গিয়ে জাহাজটি যখন ডুবে যাচ্ছিল, ক্যাপ্টেন সেটিকে চরের কাছাকাছি নিয়ে যান। সেখানে জাহাজটির বড় অংশ ডুবে গেছে। তবে এখানে সবাই নিরাপদে আছেন। ডুবে যাওয়া জাহাজ দুটি উদ্ধারে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে মালিকপক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।