ভালোবাসা ও সম্মান দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয় : সুবর্ণা

52

সুবর্ণা মুস্তাফা, যুগের পরে যুগ ধরে যিনি ব্যক্তিত্ব ও রুচিশীল উপস্থাপনায় নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। একজন অসাধারণ অভিনেত্রীর পাশাপাশি আবৃত্তি এবং উপস্থাপনায় রেখেছেন নিজের ব্যক্তিত্ব ও যোগ্যতার ছাপ। পরিচিত এই সুবর্ণা মুস্তাফার বাইরেও তার রয়েছে আরেক পরিচয়। বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেট ম্যাচে মাঠে গড়ালে জনপ্রিয় একটি এফএম রেডিও-তে শোনা যায় তার ধারাভাষ্য। এক কথায় একজন সুবর্ণা মুস্তাফা নিজেকে গড়ে তুলেছেন নারী শক্তির ধারক হিসেবে। যে শক্তি তাকে নিয়ে গেছে একাদশ জাতীয় সংসদেও।
সবার প্রিয় অভিনেত্রী ও পরিচালক সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদককে ভুষিত হয়েছেন। নারী দিবস সামনে রেখে সুবর্ণা মুস্তাফা বাংলানিউজকে বলেন, ‘একজন বাঙালি হিসেবে এটা সম্মানের আর নারী হিসেবে গর্বের।’ এই সম্মান পেয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া নিয়ে, নিজের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একুশে পদক পেয়ে বুঝতে পেরেছি এতো দিন যে কাজ করেছি, সঠিক পথেই এগিয়েছি।’ সম্প্রতি তার সফলতায় যোগ হয়েছে আরও একটি দায়িত্বের পালক। একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনীত হয়েছেন তিনি। সুবর্ণা জানান, প্রতিটি কাজকেই সমান গুরুত্ব দেন তিনি। অভিনয় করার সময় যেমন নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেন চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে। তেমনি এখন সংসদেও নিজের অবস্থান হবে মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করা। শুধু নারীদের জন্যই নয় দেশের পিছিয়ে পড়া প্রতিটি মানুষের জীবন-মান উন্নত করতে ভূমিকা রাখতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘অভিনয় দিয়েই দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি, তাদের জন্যই আজকের এই সুবর্ণা। দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রের সম্মানের সঙ্গে সঙ্গে এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর, দায়িত্ব বেড়ে গেল। একজন আইন প্রণেতা হিসেবে সংসদে মানুষের পক্ষে কথা বলতে চাই।’ নারী শিক্ষার জন্য কাজ করতে চান সুবর্ণা। তিনি বলেন, ‘নারীই মানুষের জন্ম দিয়ে, মানব জাতিকে টিকিয়ে রাখে। শিক্ষিত মায়েরাই সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন।’ সুবর্ণা মুস্তাফা ২ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গুণী অভিনেতা গোলাম মুস্তাফা। সুবর্ণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করেন। অসংখ টিভি নাটক, সিনেমার পাশাপাশি টানা ২৫ বছরের বেশি সময় তিনি কাজ করেছেন মঞ্চে। ঢাকা থিয়েটারে সুবর্ণা মুস্তাফার অভিনীত অনেক চরিত্র এখনো অনেকের মনে দাগ কেটে আছে।