‘ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে’

33

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির হার বর্তমানে সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারত্ব ঐতিহাসিক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এক শুনানিতে অংশ নিয়ে পেন্টাগনের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক কমান্ডার ফিলিপস ডেভিডসন এসব কথা বলেন। ২০১৮ সালে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যোগাযোগগত সামঞ্জস্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক কমকাসা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দু’দেশের সামরিক বাহিনীর তথ্য (এনক্রিপটেড) আদানপ্রদান এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম বিক্রি প্রশ্নে চুক্তিটি করা হয়েছিল।
মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে এ চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক মার্কিন কমান্ডার ফিলিপস ডেভিডসন। সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সামরিক তথ্য আদান-প্রদানের সক্ষমতা বাড়াতে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত অংশীদারত্ব ঐতিহাসিক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’
ডেভিডসন জানান, গত বছর মার্কিন ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাঁচটি বড় ধরনের মহড়ায় অংশ নিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সামরিক খাতে ৫০ বারেরও বেশি বিনিময় হয়েছে। তার দাবি, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি চলছে। এর আগে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে ভারতকে ন্যাটো মিত্রদের সমান বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।
উচ্চ প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বেসামরিক পণ্য বিক্রি বাড়ানোর উদ্দেশে দেশটিকে এই তালিকায় উন্নীত করে ট্রাম্প প্রশাসন। তালিকাভুক্ত না হলে এসব পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে।