ভারত-পাকিস্তানকে নতুন করে উত্তেজনা না বাড়ানোর আহব্বান যুক্তরাষ্ট্রের

35

পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ এখনও বজায় রয়েছে। জইশ ই মোহাম্মদের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করছে না ট্রাম্প প্রশাসন। আর পাকিস্তান যদি তা না করে তবে তা ইসলামাবাদের জন্য চরম জটিলতা তৈরি করবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা তার নাম প্রকাশ করেননি। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সে দেশের আধাসামরিক বাহিনীর ওপর জইশ-ই-মোহাম্মদের স্বঘোষিত আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হলে এই পর্যায়ের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা শুরু হয়। হামলায় রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের মাটিতে বিমান হামলা চালায় ভারত। পরে ভারতের একটি বিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান, এর পাইলটকে আটক করা হয়। এরপর থেকেই দুই দেশের সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে উঠে আসে পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা ও একে অন্যের হামলা প্রতিহত করার খবর। অবশেষে ভারতীয় পাইলটের মুক্তির মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সাময়িক উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত মিললেও আশ্বস্ত হতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনও দেখতে পাচ্ছি দুই পক্ষের সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। এতে আমরা বুঝতে পারছি যে, ঈশ্বর না করুক, যদি আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা হয়ে যায় তবে আপনারা দেখবেন দ্রুতই পরিস্থিতি আবারও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠবে।’
ভারত তাদের মাটিতে সংঘটিত জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের মদদের কথা বলে আসছে বহুদিন ধরেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ভারতের এই অবস্থানের সঙ্গে কমবেশি একমত। মার্কিন ওই কর্মকর্তা ইসলামাবাদকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে বলেন, ‘পাকিস্তান যদি এ সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে টেকসই কোনও ব্যবস্থা না নেয় এবং নতুন করে যদি সন্ত্রাসী হামলা হয়, তবে তা পাকিস্তানের জন্য চরম সমস্যাজনক হবে। এতে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে পারে।’ পাকিস্তানের দাবি, তারা বেশ কয়েকজন চরমপন্থীকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের সম্পত্তি জব্দ করেছে। তবে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ওই ধরপাকড়কে যথেষ্ট বলে মনে করে না ওয়াশিংটন। তিনি বলেছেন এ ব্যাপারে টেকসই ব্যবস্থা দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।