ভারতে কালোবাজারিদের দখলে করোনার ওষুধ

13

ভারতের রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে গুরুতর করোনা রোগীদের বাঁচানোর চেষ্টায় পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সংকট চলছে। অন্যদিকে কালোবাজারে গলাকাটা দামে বিক্রি হচ্ছে এসব ওষুধ। আপনজনদের জীবন বাঁচানোর আশায় উপায় না পেয়ে শেষমেশ কালবাজারিদেরই দ্বারস্থ হতে হচ্ছে অনেক মানুষকে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে। বিবিসি জানায়, ভারতে গুরুতর করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ‘জীবন রক্ষাকারী’ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত রেমডেসিভির ও টকিলিজুমাব ওষুধের সরবরাহ কম। অন্যদিকে দিল্লির কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব ওষুধ।
খবরে বলা হয়, ভারতে সাধারণত এক ভায়াল রেমডিসিভির ওষুধের দাম ৫ হাজার ৪০০ রুপি। অথচ কালোবাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার রুপিরও বেশি দামে। মৃত্যুশয্যায় থাকা স্বজনদের বাঁচানোর চেষ্টায় মানুষ যে কোনো মূল্যে এসব ওষুধ সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। অনেক গরীব মানুষই সর্বস্ব বিকিয়ে সংগ্রহ করছেন এসব ওষুধ। যদিও করোনার চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত অব্যর্থ কোনো ওষুধ আসেনি। ভারতে বর্তমানে রেমডেসিভির করোনা চিকিৎসায় কতোটা কার্যকর তা জানতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। সরকার গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলকভাবে এ ওষুধের ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলেই ভারত জুড়ে এখন এ ধরনের ওষুধের চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু মার্কেটে তা পাওয়াই দুষ্কর। কেননা কম সরবরাহ থাকা এসব ওষুধের দখল নিয়েছে কালবাজারিরা।