ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা

21

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় সরকারদলীয় ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তেজনা নিরসনে ওয়েলে নেমে আসতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায়। মমতার হস্তক্ষেপে সংসদ সদস্যরা শান্ত হন। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার দিনের প্রশ্নোত্তর পর্বে। মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস দলের সংসদ সদস্য প্রতিমা রজক পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে তার দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি শুভেন্দুকে প্রশ্ন করেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে যে, পরিবহণ দপ্তরে তিন থেকে চার লাখ টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। এটা কি সত্যি?” বিধানসভায় উপস্থিত এক সংসদ সদস্য জানান, উপরের প্রশ্ন শুনেই নিজের আসনের সামনে দাড়িয়ে পড়েন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রতিমা রজকের উদ্দেশে বলেন,‘‘এ ধরনের কোনও অভিযোগ থাকলে আপনি প্রমাণ করুন। যদি না করতে পারেন তা হলে এখানেই ক্ষমা চান।” কংগ্রেস সংসদ সদস্যের অভিযোগ, এ কথা বলেই থেমে থাকেননি মন্ত্রী। প্রতিমাকে উদ্দেশ্য করে তিনি মন্তব্য করেন,‘‘পরের নির্বাচনেও আপনি হারবেন।” মন্ত্রীর কথা শুনে প্রচÐ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। তিনি নিজের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে যান। তাঁকে বাধা দিয়ে থামাতে গিয়ে সামান্য আঘাত পান তার দলেরই সংসদ সদস্য হুমায়ুন রেজা।
কমলেশ এর পর হুমায়ুন রেজাকে টপকে বেরিয়ে আসেন এবং মন্ত্রীর দিকে ছুটে যান। তাকে ছুটতে দেখে নিজের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন শাসক দলের সংসদ সদস্যরা। কমলেশের সঙ্গী হন অন্য কংগ্রেস সদস্যরা যোগ দেন বাম সংসদ সদস্যরাও। রীতিমতো হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস দু’পক্ষকে সামলানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আব্দুল মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তীও ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, হাতাহাতি নিরসনের চেষ্টা করেন। বিরোধীরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন। তখন পরিস্থিতি সামলাতে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তিনি অনুরোধ করেন, নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে। নিজের দলের সংসদ সদস্যদেরও তিনি ধমক দিয়ে নিজেদের আসনে ফিরে যেতে বলেন। তার হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়।