ভারতের উদ্বেগ সত্ত্বেও নতুন টুর্নামেন্ট বাড়াচ্ছে আইসিসি

32

ক্রিকেটের গ্লোবাল গভর্নিং বডি ফের দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে খেলাটির সবচেয়ে বড় পাওয়ারহাউস ভারতের সঙ্গে। বিসিসিআই-এর আপত্তি সত্তে¡ও ভবিষ্যত চক্রের জন্য অতিরিক্ত টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।
সোমবার দুবাইয়ে আয়োজিত সভায় পরবর্তী চক্রের জন্য অতিরিক্ত বৈশ্বিক আসর অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সম্মতি দিয়েছে আইসিসি। যা শুরু হবে ২০২৩ বিশ্বকাপের পর। আট বছরের এই অতিরিক্ত চক্র চলবে ২০২৩ থেকে ২০৩১ সাল পযর্ন্ত। এই চক্রের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য প্রতিবছর থাকছে একটি করে আইসিসি টুর্নামেন্ট। দু’টি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং সেই সঙ্গে থাকছে অতিরিক্ত দু’টি আসর। যা হতে পারে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে।
আইসিসির সভার কয়েকজন পরিচিত কর্মকর্তার মতে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আদলে ৫০ ওভারের এই অতিরিক্ত টুর্নামেন্ট আয়োজিত হতে পারে। তবে তা আরো ছোট পরিসরে। র‌্যাংকিংয়ের ওপরের সারির ৬ দলকে নিয়ে।
বিসিসিআই অবশ্য আইসিসির নতুন এই সংযোজনের বিষয়ে ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিসিসিআই-এর প্রেডিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সৌরভ গাঙ্গুলী গণমাধ্যমে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, আইসিসির রাজস্ব খাতে বিসিসিআই যে অবদান রাখে তিনি তা পুনরায় খতিয়ে দেখবেন।
তিনি জানান, ভারতের যা ‘প্রাপ্য’ তা পাওয়া উচিৎ। আইসিসি বৈশ্বিক ক্রিকেট থেকে যা রাজস্ব পায় তার ৭০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।
ভবিষ্যৎ চক্রের অতিরিক্ত টুর্নামেন্ট আয়োজিত হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে ভারত। নতুন আসর আয়োজন করে আইসিসি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিসিসিআই।