ভাটিয়ারি ছাত্রলীগের মানববন্ধন

80

জননেত্রী শেখ হাসিনা খুবই অসময়ে সীতাকুন্ডবাসির জন্য উপহার স্বরুপ চট্টগ্রাম-৪ আসনের এমপি আলহাজ দিদারুল আলমকে মনোনয়ন দিয়ে সেবা উদ্দ্যোশে পাঠিয়েছে। বর্তমানে উনি দুইবারের সংসদ সদস্য হিসেবে সীতাকুন্ডে অনেক সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছেন। আর উন্নয়ন কাজের মধ্য দিয়ে সীতাকুন্ডবাসীর হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। জনসেবার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করাই তার ধ্যান জ্ঞান। সরকারী অর্থ ছাড়াও ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অর্থে তিনি সীতাকুন্ড যে উন্নয়ন করেছেন তা প্রতিপক্ষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এ কারণে তারা ফলক ভেঙে এমপি দিদারের নাম মুছে ফেলতে চায়। আসলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ফলক ভেঙে এমপি দিদারুল আলমের উন্নয়ন কাজ মুছে ফেলা যাবে না। বরং তা আরো বেশি প্রকাশিত হবে। আরো বেশি উচ্ছ্বারিত হবে। ফলক ভেঙে লাভ নাই, এমপি দিদারের উন্নয়ন চলতে থাকবে। কারণ নেত্রী উনাকে পাঠিয়েছেন উন্নয়ন আর সীতাকুন্ডবাসিকে সেবা দেওয়ার জন্য। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ ফলন ভাঙার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। গত শনিবার বেলা ১১টায় সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারীতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ আয়োজিত মানববন্ধনে নেতাকর্মীরা এসব কথা বলেন। ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শিহাব উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক নাহিদুজ্জামান নিশাত, আহবায়ক কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন বাবলু, শাহরিয়ার হামিদ, তৌহিদুজ্জামান মেজবা, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, রাকিন, রানা, তুষার, রিমন, ইফতি, আজাদ, রাসেল মাহমুদ প্রমুখ। প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় প্রতিবাদে এর আগেও পৌরসদরে মানববন্ধন করে ছাত্রলীগ। শনিবার আবারো মানববন্ধন করে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় তারা। উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন সীতাকুন্ড মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন পরবর্তী ভিত্তি প্রস্তর করেন এমপি দিদারুল আলম। এমপি উদ্বোধনের দুই দিন পরেই অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীরা রাতের আঁধারে ফলকটি ভেঙে ফেলেন। এ ঘটনায় সীতাকুন্ড মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করেন।