বড় আকারের সাহসী বাজেটের জন্য সরকারকে সাধুবাদ

25

দেশের চলমান অগ্রযাত্রায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকার সর্বোচ্চ বাজেট জাতিকে উপহার দেয়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পক্ষ থেকে সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এর সভাপতি খলিলুর রহমান। তাঁর মতে, যেখানে বাংলাদেশের ১ম বাজেট ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা, ৪৯ বছর পর বর্তমানে জাতি পেয়েছে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট। এতেই অনুমেয় হয় বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রæপ কেডিএস গ্রুপের কর্ণধার খলিলুর রহমান বড় আকারের সাহসী এই বাজেটের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানী ও বন্দর উন্নয়ন খাতে আরও বেশি ও বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। এতে করে দেশের শিল্পায়ন বৃদ্ধি পেয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের জিডিপি ৮.৫ ছাড়িয়ে যাবে। বাজেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, রেমিটেন্সের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় বৈদেশিক সহায়তার ব্যবস্থা থাকলে সরকারের ব্যাংক ঋণ গ্রহণের মাত্রা কমবে। অন্যদিকে দেশের অর্থ নিয়ে তারল্য সংকট সৃষ্টি হবে না। পক্ষান্তরে ব্যাংক ঋণ ছাড়াই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
তিনি মনে করেন, ভ্যাট আইনের যে ৫টি স্তর বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে তার হার আরও কমিয়ে বেশি লোক থেকে ভ্যাট আহরণের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণ যে সকল স্থানে ভ্যাট প্রদান করছে বহুলাংশে তা সরকারের কোষাগারে যাচ্ছে না। জনগণের প্রদেয় ভ্যাট যাতে সরকারের কোষাগারে জমা হয় তার জন্য সর্বস্তরে ভ্যাট চালানের বাধ্যবাধকতাসহ সকল ১ম শ্রেণির ব্যবসাস্থলে ভ্যাট আহরণ মেশিন চালু করার ব্যবস্থা করলে ভ্যাট থেকে বিশাল অংকের রাজস্ব আসবে। এছাড়াও কাস্টম হাউজের অটোমেশনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করলে কিছু কাস্টম কর্মকর্তার ঐচ্ছিক কার্যক্রমের উপর ব্যবসায়ীদের নির্ভরশীলতা কমানোর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ব্যয় ও সময় কমানোসহ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি আসবে, যা বাজেট বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
এডিবি বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রস্তাব রেখে খলিলুর রহমান বলেন, প্রকল্পসমূহের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিবিড় জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। প্রতিমাসে কাজের অগ্রগতি, ব্যয় ইত্যাদি মন্ত্রণালয়ে দাখিলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। মেয়াদ শেষে কোােন প্রকল্প কর্মকর্তা এডিবি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে সে কর্মকর্তার এসিআর এ তা লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং এর ভিত্তিতেই তার পদোন্নতি বিলম্বিত হওয়ার মতো নির্দেশনা থাকতে হবে।
কারিগরি শিক্ষা খাতসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সকল ধরণের প্রতিবন্ধকতা পরিহার করে বিত্তবানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার সুযোগ দেওয়ার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতি কারিগরি শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারলেই বিদেশে আমাদের কর্মসংস্থানের মান বৃদ্ধিসহ রেমিটেন্সের প্রবাহ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং এ খাতে প্রচুর তদারকি ব্যবস্থার জন্য বিশেষ অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান তিনি। তাঁর মতে, দেশের খাদ্যদ্রব্য বিক্রেতা কর্তৃক সকল স্তরেই ভেজাল ও রাসায়নিক মিশ্রিত খাদ্য প্রতিরোধ করে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশেষ পৃথক বিভাগ সৃষ্টি করে সারা দেশের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে নমনীয় হওয়ার কোনো সুযোগ রাখা কাম্য নয়। তিনি ব্যবসা বান্ধব এ বাজেটের জন্য অর্থমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান। দেশের অগ্রযাত্রায় ঘোষিত বাজেট আরো কার্যকর বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি