ব্রেক্সিট পেছাতে ইইউকে সই ছাড়া চিঠি পাঠালেন বরিস জনসন

64

ব্রেক্সিট পেছানোর অনুরোধ জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) চিঠি পাঠিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে সেই চিঠিতে নিজের সই দেননি জনসন। তবে ওই চিঠির সঙ্গেই ব্রেক্সিট পেছানো ভুল হবে উল্লেখ করে নিজের সইসহ আরেকটি চিঠি পাঠিয়েছেন জনসন। নিজের সই করা ওই চিঠিতে নির্ধারিত ৩১ অক্টোবরেই ব্রেক্সিট হওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। রবিবার (২০ অক্টোবর) এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শনিবার (১৯ অক্টোবর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ভোটে হেরে ৩১ অক্টোবরের নির্ধারিত ব্রেক্সিট পেছাতে ইইউকে আবেদন করতে বাধ্য হন জনসন। এক টুইটবার্তায় ইইউ’র কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর আবেদন তিনি পেয়েছেন। ইইউ’র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইইউ’কে মোট তিনটি চিঠি পাঠিয়েছেন জনসন। একটি হচ্ছে সই ছাড়া, যেটিতে রয়েছে ‘বেন অ্যাক্ট’ নামক আইনের ফটোকপি। মূলত ওই আইন-ই জনসনকে ব্রেক্সিট পেছানোর জন্য অনুরোধ করতে বাধ্য করেছে।
আরেকটি ইইউয়ে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের পাঠানো কৈফিয়তমূলক চিঠি। যেটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বেক্সিট পেছানোর আবেদনটি মূলত সরকারের নয়, পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত। অন্যটি ব্রেক্সিট না পেছাতে নিজের অবস্থান প্রকাশ করে ইইউ’র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের উদ্দেশ্যে একটি ব্যাখ্যামূলক চিঠি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জনসনের তিনটি চিঠি পাঠানোর এই সিদ্ধান্ত ‘বিতর্কিত’। কারণ এটা বরিস জনসনের কোর্টকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখা হতে পারে। তাহলে, লড়াইটা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জাতির উদ্দেশ্যে এক টুইটে বলেন, দারুণ একটি চুক্তির মাধ্যমে আমরা ইইউ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি। এতে ব্রিটেনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কিন্তু শনিবার হাউস অব কমন্সের বিশেষ সভায় সেই দাবি তোলার আগেই ব্রেক্সিট পেছাতে ভোট দেন পার্লামেন্টের এমপিরা। ব্রেক্সিট সংশ্লিষ্ট সব আইন প্রণয়নের আগেই কোনো চুক্তিতে যেতে চাইছেন না তারা। পার্লামেন্টের স্বতন্ত্র সদস্য সাবেক রক্ষণশীল মন্ত্রী স্যার অলিভার লেটউয়িনের তোলা প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩২২টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৩০৬টি। তবে আগামী সোমবার (২১ অক্টোবর) ইইউ’র সঙ্গে করা সেই খসড়া চুক্তি অনুমোদন করার জন্য ব্রাসেলসে তা তুলবেন জনসন।
তিনি বলেন, আমি ইইউকে তাই বলবো যা আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিগত ৮৮ দিন ধরে বলে আসছি। ব্রেক্সিট পেছানো কোনো সমাধান নয়। বাংলানিউজ