ব্রেক্সিট : ঐকমত্য হয়নি অচলাবস্থাও কাটেনি

28

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা সমাধানের কোনো উপায় বের করতে পারেনি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। সোমবার প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে-র বিচ্ছেদ চুক্তির বিকল্পের বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে ব্যর্থ হন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। পার্লামেন্ট সদস্যরা গত সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো মে-র ব্রেক্সিট চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন, কিন্তু প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তারা পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে কোনো প্রস্তাবে একমত হতে পারেননি।
চুক্তিটি পাস হলে তিনি পদত্যাগ করবেন, প্রধানমন্ত্রী মে-র এমন প্রতিশ্রুতি সত্বেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এতে ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ গন্তব্য কোন দিকে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এই অচলাবস্থা ভাঙতে সোমবারের অধিবেশনের শেষ দিকে বিকল্প চারটি ব্রেক্সিট প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়। কিন্তু চারটির কোনোটিই সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পায়নি। ব্রিটেনকে ইইউয়ের সঙ্গে একটি ‘কাস্টমস ইউনিয়নে’ রেখে দেওয়ার একটি প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পাওয়ার কাছাকাছি গেলেও শেষ পর্যন্ত তিন ভোটে পরাজিত হয়। যে কোনো চুক্তি গণভোটের মাধ্যমে নিশ্চিত করার আরেকটি প্রস্তাব সবচেয়ে বেশি ভোট টানলেও ২৯২-২৮০ ভোটে পরাজিত হয়।
মে-র সরকার দৃঢ়ভাবে এই দুটি প্রস্তাবেরই বিরোধিতা করে। ফলাফল ঘোষণার পর ব্রিটেনের ব্রেক্সিটমন্ত্রী স্টিভেন বার্কলি জানিয়েছেন, ১২ এপ্রিল কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করবে এখনও সেই পরিস্থিতিই বিদ্যমান রয়ে গেছে। ২৩ মে ইউরোপীয় নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে সুশৃঙ্খলভাবে ইইউ থেকে বের হওয়া নিশ্চিত করার আশায় চলতি সপ্তাহে মে তার চুক্তিটিকে চতুর্থবারের মতো ভোটাভুটির জন্য উপস্থাপন করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।