ব্রাসেলসে জাতিসংঘের অভিবাসন চুক্তি বিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা

33

জাতিসংঘের অভিবাসন চুক্তির বিরোধিতা করে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে কয়েক হাজার লোক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। গত সপ্তাহে মরক্কোর মারাকেশ শহরে স্বাক্ষরিত চুক্তিটিতে বেলজিয়ামও যোগ দিয়েছে, কিন্তু তাতে অভিবাসন বাড়তে পারে আশঙ্কায় এর বিরোধিতা করে দেশটির ফ্লেমিশ ডানপন্থি দলগুলো বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল। রবিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে অনুষ্ঠিত এই মিছিলে ৫,৫০০ প্রতিবাদকারী অংশ নিয়েছে এবং মিছিলকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর বিবিসির। সহিংসতা শুরুর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। বামপন্থি গোষ্ঠীগুলো ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো নগর কেন্দ্রে পাল্টা একটি সমাবেশ করে যেখানে প্রায় হাজারখানেক লোক জড়ো হয়েছিল। ওই চুক্তিতে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত রবিবার ক্ষমতাসীন জোটের সবচেয়ে বড় অংশীদার ডানপন্থি এ-ভিএ পার্টি জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায়। জুলাইতে জাতিসংঘের ১৯৬ সদস্য রাষ্ট্র গ্লোবাল কম্প্যাক্ট ফর সেইফ, অর্ডারলি এন্ড রেগুলার মাইগ্রেশন চুক্তির বিষয়ে একমত হয়। গত সপ্তাহে মারাকেশে ১৬৪ দেশ চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউভুক্ত অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, ইতালি, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে।
চুক্তিটিতে অভিবাসনের বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক পদ্ধতি চাওয়া হয়েছে যেখানে ‘নিজ নিজ অভিবাসন নীতি নির্ধারণের বিষয়ে রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌম অধিকার পুনঃনিশ্চিত করা হয়’ এবং বৈধ অভিবাসনের ‘মৌলিক’ গুরুত্বের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। চুক্তিটি পালনে আইনি কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। কিন্তু ইউরোপীয় সমালোচকদের বিশ্বাস, এই চুক্তির ফলে ইউরোপে অভিবাসন আরও বৃদ্ধি পাবে। বেলজিয়াম এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করা আগে জনগণের মতামত নেওয়া সরকারের উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ফ্লেমিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির যুব শাখার নেতা।