ব্রাজিলে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে

22

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে বৃহস্পতিবার (২১ মে) নতুন করে ১ হাজার ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এটাই সেদেশে একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি। এর মধ্য দিয়ে ব্রাজিলে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৭ জনে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, লাতিন আমেরিকা করোনার পরবর্তী হটস্পট হয়ে উঠতে পারে।২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্য ও স্পেনকে ছাড়িয়ে গেছে ব্রাজিল। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর দেশটি এখন বিশ্বের তৃতীয় করোনা আক্রান্ত রাষ্ট্র। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় চাপ পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর। ইতোমধ্যেই দেশটির বৃহত্তম শহর সাও পাওলো-র স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র ব্রুনো কোভাস।
তিনি জানান, হাসপাতালগুলোতে বেডের চাহিদা বাড়ছে। পুরো স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পতনের মুখে দাঁড়িয়েছে। ব্রæনো কোভাস বলেন, সরকারি হাসপাতালের ৯০ শতাংশই এখন পরিপূর্ণ। সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ পর এগুলোতে আর জায়গা থাকবে না। সাও পাওলো ব্রাজিলের অন্যতম করোনাভাইরাস আক্রান্ত এলাকা। সেখানে তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে করোনা পরীক্ষার হার কম। এজন্য বাস্তবতার চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হচ্ছে। যথাযথ পরীক্ষা হলে আরও অনেক বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হতো।