ব্যয় সংকোচন, সাধারণ বিমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ইমরান খান

32

সরকারের ব্যয় সংকোচনের নজির স্থাপন করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিন দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিশেষ সরকারি বিমানের বদলে কাতার এয়ারওয়েজের কমার্শিয়াল ফ্লাইটে যাত্রা করেছেন তিনি। নিয়ম মেনে শনিবার দোহায় উড্ডয়নের যাত্রাবিরতি পর্বে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষা করতেও দেখা গিয়েছে তাকে। আর্থিক সংকটে দিশেহারা পাকিস্তানে সরকারি খরচ কাটছাঁটের জন্য কয়েকমাস আগেই সক্রিয় হয়েছেন ইমরান। মন্ত্রী ও আমলাদের পাশাপাশি নিজের জন্যও বেছে নিয়েছেন স্ব-আরোপিত ব্যয় সংকোচন নীতি।
শুধু সাধারণ বিমানে উড্ডয়নই নয়, যুক্তরাষ্ট্র সফরেও বিলাসবহুল কোনও হোটেলে উঠছেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এর বদলে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ খানের বাসভবনে থাকবেন তিনি।
ইমরানের সফরসঙ্গীদের তালিকায় রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি, সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈজ হামিদ।
আগামী ২২ জুলাই হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইমরান। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক আর্থিক সমন্বয়ের পাশাপাশি পাকিস্তানের কারাগারে আটক চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদির মুক্তির বিষয়ও থাকবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তার মুক্তির জন্য ইমরান খানের প্রতি অনুরোধ জানাতে পারেন ট্রাম্প।
সাবেক আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরিয়ে দিয়েছিলেন শাকিল। পরে রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে ২০১২ সালে লাদেনের ওই চিকিৎসককে ৩৩ বছরের কারাদন্ড দেয় পাকিস্তানের আদালত।
পেন্টাগনে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জেনারেল মাইক মাইলি-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে জেনারেল বাজওয়ার। দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনও দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন মাইক মাইলি।