ব্যাংক খাতে অনিয়ম তদন্তে কমিশন চেয়ে উকিল নোটিস

95

ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, সুদ মওকুফ সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত ও সুপারিশ প্রণয়নে কমিশন গঠন করতে সংশ্লিষ্ট পাঁচ সচিবসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিসটি পাঠানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
সাতদিনের মধ্যে কমিশন গঠনের সময় বেঁধে দিয়ে নোটিসে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনের অনিয়ম, বিভিন্ন প্রাইভেট ও পাবলিক ব্যাংকগুলোতে ঋণের উপর সুদ মওকুফ সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত ও তা বন্ধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ১৯৫৩ সনের ইনকোয়ারি কমিশন অ্যাক্টের অধীনে একটি কমিশন গঠন করার অনুরোধ করা হচ্ছে। “কয়েক বছর ধরে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিভিন্নভাবে আত্মসাৎ করা হচ্ছে। কিন্তু তা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। যদিও আত্মসাৎ হওয়া অর্থ নাগরিকের গচ্ছিত অর্থ।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ নোটিস পাঠনো হয়েছে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের সাবেক সিইও মামুন রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিশন গঠন করতে নোটিসে অনুরোধ করা হয়েছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে দেশে আমদানি কমার পাশাপাশি রপ্তানি আয়, রেমিটেন্স বৃদ্ধির সঙ্গে মূল্যস্ফিতিও সহনীয় ছিল।
কিন্তু ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ২০১৮ সালে সরকারের তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। বিশাল অংকের খেলাপি ঋণের পাশপাশি ব্যাংক খাতের ঋণ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ কয়েক বছর ধরেই রয়েছে আলোচনায়।
নতুন বছরে নতুন সরকারের প্রথম দিন থেকেই ব্যাংক খাতে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। বার্তা সংস্থার খবর