ব্যাংকারসহ ৪ শিল্পপতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

53

অর্থ আত্মসাতের দায়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ চার শিল্পপতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম বাদি হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বেসরকারি এ বি ব্যাংকের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদাসের (এমইবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুল আলম ও তার ছেলে নাহার ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়াইব, নুরজাহান গ্রূপের মাররীন ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহাম্মদ ও তার ভাই একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। এছাড়া অভিযুক্ত হিসেবে আছেন এ বি ব্যাংকের সাবেক এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার মো. আশরাফুল আজিজ।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ৮২২ টাকা ৮০ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। তারা পরস্পরের যোগসাজশে ভুয়া দলিল দাখিল করে মালামাল কেনাবেচার ছদ্মাবরণে এ বি ব্যাংক চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে টাইম লোন নিয়ে আত্মসাৎ করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া তারা জ্ঞাতসারে সেই অর্থ ট্রান্সফার ও লেয়ারিং করে অর্থের অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করেন বলেও এজাহারে বলা হয়েছে।
দÐবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬২ (ক ও খ), ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং ২০০৯ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে।
অভিযুক্ত শিল্পপতি শামসুল আলম বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি নগরীর কোতোয়ালী-বাকলিয়া আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর কিছুদিন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে শামসুল আর রাজনীতির মাঠে সেভাবে সক্রিয় নন। গতবছরের নভেম্বরে তিনি অন্য একটি শিল্পগ্রæপের দায়ের করা চেক প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।