ব্যতিক্রম শুধু জিইসি মোড়ের বিলবোর্ডটি!

45

নগরকে বিলবোর্ডমুক্ত করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তবে মেয়াদের শেষ সময়ে এসে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা বিলবোর্ড নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি। মেয়রকে বিলবোর্ড উচ্ছেদের আহব্বান জানিয়েছেন আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীও। এ নিয়ে নগর রাজনীতি ঘোলা হতেই উচ্ছেদ অভিযানে নামে সিটি করপোরেশন।
গত একমাসের মধ্যে দুইবার বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সিটি করপোরেশন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। নগরীর জাকির হোসেন রোড থেকে (খুলশী এলাকা) শুরু করে আগ্রাবাদ পর্যন্ত বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু জিইসি মোড়ের সেন্ট্রাল প্লাজার ওপরে সুবিশাল বিলবোর্ড দুইটিতে (বিএসআরএম ও গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত) আঁচড় লাগতে দেয়নি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এই বিলবোর্ডটি নিয়ে ব্যতিক্রম অবস্থান কেন সিটি করপোরেশনের? এমন প্রশ্নের জবাবে ভিন্ন এক গল্প শুনিয়েছেন চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মুফিদুল আলম। তিনি পূর্বদেশকে বলেন, মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা সব বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা গেলেও বিলবোর্ডটি উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। আরও ৭ বছর আগে ভবন মালিকের সিটি করপোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়, ভবন ভেঙে পুনঃনির্মাণ না করা পর্যন্ত বিলবোর্ডটি থাকবে এবং এর বিপরীতে সকল ধরনের ফি পরিশোধ করে ভবন মালিক। তাই ভবনটি না ভাঙা পর্যন্ত বিলবোর্ডটি উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। তবে ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন করা হলে সেখানে কোনো বিলবোর্ড থাকবে না বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তবে ভবনটির মালিকানায় রয়েছে বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্রয়সূত্রে বাণিজ্যিক ভবনটির বৈধ মালিক বনে গেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু। তিনিই বিলবোর্ডটির মালিক। তবে সব ধরণের বিলবোর্ডই উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা জানান, সব ধরণের বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হবে। আলাদা করে কোনো বিলবোর্ড দেখার সুযোগ নেই। তবে জিইসি মোড়ের বিলবোর্ডটি নিয়ে আলাদা অনুমোদনের কোনো কথা তিনি জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে নগরীর জাকির হোসেন রোড, দেওয়ান হাট ওভারব্রীজের সংলগ্ন ভবন ও পাঠানটুলী চৌমুহনী সহ পৃৃথক তিনটি ভবন থেকে অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে ভ্রাম্যমান আদালত। চসিকের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার এবং স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে আদালতটি পরিচালনা করেন। সর্বশেষ গত বুধবার আগ্রাবাদস্থ শেখ মুজিব রোডে চারটি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা একই আদালত।