বোয়ালখালী নতুন বাজার ফেসবুক স্ট্যাটসের মাধ্যমে বর্জনের ঘোষণা

93

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় চাকতাই খ্যাত পাইকারী খুচরা বিক্রয়ের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র বোয়ালখালী নতুন বাজারে পাহাড়ী ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেনি। গত শুক্রবার রাতে সুভাষ বসু চাকমা নামে অজ্ঞাত এক ফেসবুক আইডি থেকে বাজার বর্জনের এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ ঘোষণায় গত শনিবার সাপ্তাহিক হাটে পাহাড়ী ক্রেতা বিক্রেতারা আতঙ্কে বাজারে আসেনি। যারা বাজারে এসেছেন, তড়িঘড়ি করে তারা বিক্রি করতে নিয়ে আসা মালামাল রেখেই বাজার ছেড়েছেন। গত শনিবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতি কম। যেসব পাহাড়ী লোকজনের বাজারে এসেছেন উপস্থিতি নেই বললেই চলে। গত শুক্রবার রাত ৯টা ৫২ মিনিটে সুভাষ বসু চাকমা নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে বোয়ালখালী নতুন বাজার বয়কটের ঘোষণা দেয়া হয়। সুভাষ বসু চাকমার ফেসবুক স্ট্যাটসে লিখেন গত ১৮ মার্চ অনুপস্থিত পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দীঘিনালা উপজেলার বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে জুম্ম আদিবাসীদের ভোট প্রদানে বাধা ও ভোটারদের উপর হামলার প্রতিবাদে দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী নতুন বাজার জুম্ম আদিবাসীদের পক্ষ থেকে গত ২২ মার্চ বয়কটের ডাক শুরু হয়েছে। তাই দীঘিনালা উপজেলার সকল জুম্ম আদিবাসীদের অবগত করা যাচ্ছে যে, বোয়ালখালী নতুন বাজারে ভুলবশত যেন প্রবেশ না করে। ফেসবুকে এ ঘোষণার পর সাধারণ পাহাড়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। গত শনিবার বোয়ালখালী নতুন বাজার হাটের দিন স্থানীয় পাহাড়ীরা বাজারে আসেনি। জনবহুল এ সাপ্তাহিক হাট ছিলো অনেকটাই ফাকা। নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মুহাম্মদ কাশেম জানান, যারা বোয়ালখালী নতুন বাজার বর্জন করেছে, তারা ভূল করেছে। আমরা সবাই মিলে দীঘিনালা উপজেলায় সম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি বজায় রাখব। এ ব্যাপারে বোয়ালখালী নতুন বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ফজল আহম্মদ জানান, বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে আমারা করণীয় ঠিক করবো। এ ব্যাপারে উপজেলা জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা) পক্ষের সভাপতি মৃণাল কান্তি চাকমা জানান, বাজার বয়কটের সাথে আমরা জড়িত নই। বরঞ্চ সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে যারা এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তাদের খুজছি। এর আগে উপজেলার বাবুছড়া বাজার, কবাখালী বাজার, এবং কী খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজার এবং পাশ্ববর্তী রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইহাট বাজারও বর্জন করে পাহাড়ীরা।