বোয়ালখালীতে আউশের আবাদে আশার সঞ্চার

31

বোয়ালখালীতে এবারের আউশের আবাদ হয়েছে গত কয়েক বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। ধানের ন্যায মূল্য, সরকারি প্রণোদনা, বীজ-সার সহায়তার ফলে আমনের আগেই আউশে চাষে আশা সঞ্চার হয়েছে কৃষক পরিবারগুলোতে। জানা গেছে, উপজেলায় গত কয়েক বছর লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তেমন একটা আগ্রহী ছিলেন না চাষীরা। এবার বোয়ালখালীতে আউশধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ শত হেক্টর জমিতে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা এবং পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে ৮৫ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে।
এতে ভালো ফলনেরও আশা করছেন কৃষকরা। বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে আগের তুলনায়। এতে আরো বেশি উৎসাহ যোগাচ্ছে সরকারি প্রণোদনা। ফলে সামনের দিনগুলোর কথা মাথায় রেখে কাজ করছে কৃষি অধিদফতর। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, বোয়ালখালীতে আউশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১শত হেক্টর জমিতে। যা গত কয়েক বছরের তুলনায় দ্বিগুন। উপজেলায় ৪শ কৃষককে আউশ প্রণোদনা এবং ১৫০ জনকে চাষীকে বীজ সহায়তা দেয়া হয়েছে। উপজেলার কধুরখীল, আমুচিয়া, শাকপুরা, সারোয়াতলী, পৌরসভার পশ্চিম গোমদনন্ডিতে দুই ফসলী, এক ফসলী জমিতে নতুন করে আউশ ধান লাগানো হয়েছে। এর মধ্য উন্নত জাতের ব্রি- ধান ৪৮, ব্রি ধান ৫৫ রয়েছে। যা তিন মাসের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। কৃষি অফিসের সহযোগীতায় আউশধানের আবাদ করেছেন পৌর এলাকার কৃষক মফজল আহম্মদ। তিনি জানান, বোরো ধান কাটার পরপরই আউশ ধান রোপণ করেছি। ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, আউশধান কাটার পরপরই আমন রোপণ করা হবে। আউশ ও আমন চাষে বোরোর তুলনায় খরচ কম। একই এলাকার কৃষক ইদ্রিছ বলেন, আমনের বীজতলায় চারা তৈরি হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। আরেকটু বড় হলে রোপণে সময় হয়ে যাবে। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দূর্গাপদ দেব জানান, সরকারিভাবে আউশ প্রণোদনা পেয়ে এ বছর অনেক কৃষক চাষাবাদে এগিয়ে এসেছেন। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার পৌর এলাকার কৃষকরা আউশ চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। এবার পৌর এলাকায় ৫ হেক্টর জমিতে আউশধানের চাষ হয়েছে যা বিগত কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এবার ফলন ভালো হলে আগামী বছর তা আরো বাড়বে বলে আশা করছি। উপজেলা অফিসার কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, আউশ চাষে এবছর নতুন করে আগ্রহী দেখিয়েছেন অনেকেই। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যাতে দেশের খাদ্য চাহিদা পুরণ হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, কোন জমি যাতে অনাবাদি না থাকে সেই জন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। চলতি মৌসুমে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হবে।