বোরো চাষাবাদে বাম্পার ফলনের উঁকি

74

সারা দেশে যখন মহামারিকরোনা ভাইরাসে জনজীবন চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে সেখানে রাঙ্গুনিয়ার কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিকে আশার আলোতে ভাসছে। বোরো চাষাবাদে এখন প্রতিটি ধানের গোচায় ধানের তোর দেখা দিয়েছে।
পুরো গুমাই বিল এখন সবুজ চাদরে ডাকা। চাখ জুড়িয়ে যাবে এ দৃশ্য দেখলে এবারে বোরো চাষাবাদে প্রাকৃতিক দুয়োর্গ ছিলনা। পানি সার, বীজ কোন কিছুর সমস্যা ছিলনা। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এর কারণে সেচ ব্যবস্থা ছিল সময়উপযোগি। কোন কিছুতেই ধাবিয়ে রাখতে পারেনি বোরো চাষে। এবারে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে মত প্রকাশ করেন কৃষকরা।
শংকা একটাই চাষাবাদে বাম্পার ফলন হলেও তার ন্যায্য মূল্য পাওয়া না পাওয়াকে ঘিরে। জানা যায়, দেশের আড়াই দিনের খাদ্য উৎপাদনকারী প্রখ্যাত গুমাই বিল এখন সুজ চাদরে ঢাকা। বোরো চাষে এবার গুমাই বিলে এক তৃতিয়াংশ জমি আবাদ রয়েছে। কৃষকরা বলছেন, আমাদের চাষাবাদে কৃষি বিভাগ তেমন উদ্ধুর্ধ করেনি। ফলে এবার বোরো চাষাবাদ কম হওয়াতে কৃষকের গোলায় ধান কম উঠবে। সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহে এর প্রভাব পড়বে বিস্তর। কৃষকরা ধান উৎপাদন না করলে সাধারণ মানুষ খাবে কি। গুমাই বিলে এবার আবাহাওয়া পানি সব কিছু অনুকুলে থাকলেও কৃষকরা শত শত একর এবার জমি আবাদ রেখেছে।
কাপ্তাই সড়কের পাশ থেকে দেখলে গুমাই বিলের কিছু জমিতে চাষাবাদ হয়েছে দেখা যাবে। একটু দুরে গিয়ে দেখলে পুরো গুমাইবিল চাষাবাদ শুন্যে ন্য্ডাা ভ’মিতে পরিণত রয়েছে। দেশের বৃহত্তম চলন বিলের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চট্টগ্রামের এই শস্য ভান্ডারে গত মৌসুমে খাদ্য শস্য উৎপাদিত হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার মেট্টিক টন। যা গুমাই বিলের ৪ হাজার হেক্টর থেকে উৎপাদিত ধানের বাম্পার ফলনে লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এভাবে খাদ্য উৎপাদন করে প্রতি বছর জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এই বিল। এ গুমাই বিলকে নিয়ে সরকারে কোন পরিকল্পনা নেই। দুই ফসলের উৎপাদনকারী এ বিল যদি কৃষি মন্ত্রানালয় মাষ্টার প্ল্যাান করে তাহলে সরকারের অর্থনিতীতে ব্যাপক অবদান রাখবে।
আর এখানকার কৃষককরা ব্যাপক উপকৃত হবে। কৃষি প্রধান দেশ আর বিলে কৃষকরা ধান চাষ করবেনা তা কি হয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে যাচ্ছেন দেশের এক ইঞ্চি জমি খালি রাখা যাবেনা। আর সে খানে গুমাই বিলের মত জমিতে শতশত একর জমি অনাবাদি এর দায়ভার কে নেবে। কৃষক বাচলে দেশ বাচবে, এটা শুধু কি মুখের কথা। কৃষি বিভাগ কৃষকের পাশে যেতে হবে। চাষাবাদে উৎসাহ যুগাতে হবে। বিল অনাবাদি থাকলে এলাকার প্রভাবশালীর ধানি জমিতে নানা স্থাপনা গড়ে তুলছ্।ে সে দিকে কারো লক্ষ নেই।
উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কাজী রমিজ আহমেদ জানায়, চলতি বোরো চাষাবাদে উপজেলায় ৭ হাজার ৪শ হক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন হয়। এর মধ্যে গুমাই বিল থেকে সিংহভাগ ধান উৎপাদিত হয়ে থাকে। এবারে গুমাই বিলে বিস্তীর্ণ জমি অনাবাদি থাকায় আশানুরুপ ধান উৎপাদন না হওয়ার আশংকা রয়েছে। উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের পাঠান পাড়া গুমাই বিলের কৃষক মোতালেব আধুরপাড়া গ্রামের ছোবাহান ছুফি পাড়ার মো. হাশেম হাজি পাড়ার আবদরি খালেক কদমতলীর মো. নুরর আজিম রেজাউল করিম আবু শ্যামা মেম্বার শ্যামা চরন দাশ পূর্ব চন্দ্রঘোনার নুরল ইসলাম মেম্বার জানান, গত আমন চাষাবাদে দানের আশানুরপ মূল্য পায়নি।
এবারে আমরা গুমাই বিলে বোরো চাষবাদ করেনি। আমাদের বাপ দাদার পেশা আমরা কি ছাড়তে পারি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চাষাবাদ করার জন্য কোন কৃষককে উদ্ধুর্ধ করেনি। আমরা ফসল উঃপাদন করি প্রকৃত কৃষক থেকে সরকারি ভাবে ধান চাল না কিনে সরকারি দলের প্রভাবে প্রভাবশালী চাল মিল থেকে ধান চাল সংগ্রহ করায় আমরা অর্থনৈতিক ভাবে মারাতœক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার জানান, এবারে বোরো চাষাবাদে বাম্পার ফলন হবে। গুমাই বিলে খিছু জমি অনআবাদ রয়েছে। ধানের উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় বোরো চাষাবাদে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আমরা কৃষকের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছি।