বোমা হামলার নেপথ্যে ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত?

41

শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলে আটটি সিরিজ বোমা হামলা কারা চালিয়েছে সেই বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আল-আরাবিয়া টেলিভিশন চ্যানেল টুইটারে জামাত আল-তাওহিদ ওয়াতানিয়া নামের ইসলামি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি। শ্রীলঙ্কার পুলিশ হামলায় ন্যাশনাল তাওহিদ জামায়াতের সংশ্লিষ্টতাকে কেন্দ্রে রেখে তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীলঙ্কা পুলিশের দাবি, তারা ১০ দিন আগেই ন্যাশনাল তাওহিদ জামায়াতের হুমকির ব্যাপারে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন। ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি’র হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, গির্জায় হামলার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার পুলিশকে আগেই সতর্ক করেছিল ‘একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা’।
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুনদারা দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সতর্কতা পাঠান। এতে বলা হয়, ‘একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত (এনটিজে) প্রখ্যাত চার্চ এবং কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।’ এই সতর্কতা নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রিসভার মুখপাত্র রজিথা সেনারতœ। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগেই কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছিল। এতে হামলাকারীদের নামও উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে ওই সতর্কতা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পর্যন্ত পৌঁছায়নি।
শ্রীলঙ্কায় প্রতিরক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার হাতে। বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে রজিথা সেনারতœ বলেন, এটা দুনিয়ার একমাত্র দেশ যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেয় না। আমরা দায় এড়ানোর চেষ্টা করছি না। কিন্তু এটিই বাস্তবতা। সরকারি কর্মকর্তারা জানান, হুমকির তথ্য থাকার পরেও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ। হামলার পর তৌহিদ জামায়াতকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে তদন্ত কার্যক্রম। এই গোষ্ঠী খুব পরিচিত না হলেও বিশেষজ্ঞদের দাবি, দক্ষিণ এশিয়ায় তারা ইসলামি জঙ্গিবাদ মতাদর্শ বহন করে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে বৌদ্ধমূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগ থাকলেও সন্ত্রাসী হামলার কোনও প্রমাণ নেই।