বৈষম্য কমাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জরুরি : পরিকল্পনামন্ত্রী

40

সমাজে বৈষম্য কমাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকান্ড আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি আমাদের দারিদ্র্য কমেছে। আগে দুই জনে একজন গরিব মানুষ ছিল, এখন পাঁচ জনে একজন। এটা আমাদের একটা বড় সাফল্য। কিন্তু এতে আত্মতুষ্টির কিছু নেই। দারিদ্র্য আরও কমাতে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকান্ড এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে।’
শনিবার রাজধানীর গুলশানে লেকসোর হোটেলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে এক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী মান্নান বলেন, “এ কথা ঠিক যে আমাদের কিছু মানুষের হাতে বেশিরভাগ সম্পদ চলে গেছে। সমাজে বৈষম্য-অবিচার-বঞ্চনা আছে স্বীকার করছি। এসব আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকান্ড বাড়ানোর মাধ্যমেই দূর করতে হবে।” ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) ‘২০১৯ ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন সামিট’ শীর্ষক এই সম্মেলন আয়োজন করে। বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে পরিকল্পণামন্ত্রী বলেন, জনগণকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত করতে সরকার বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা এবং মোবাইল ব্যাংকিং বা ডিজিটালি অর্থ ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
তবে ‘ডিজিটাল দুর্নীতি’ কমাতে সবাইকে সজাগ থাকার আহব্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তির বিষয়ে আমরা যেমন স্মার্ট, যারা ডিজিটাল দুর্নীতি করে তারাও স্মার্ট। কেবল আমাদের দেশে নয়, অন্য দেশেও ডিজিটাল দুর্নীতি হয়। ‘কিন্তু আমাদের ব্যথা একটু বেশি লাগে কারণ আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় গরিব। ডিজিটাল দুর্নীতি দূর করতে নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে হবে।’ বার্তা সংস্থার খবর