বেড়েছে পাসের হার কমেছে জিপিএ-৫

71

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় এ বছর পাসের হার ৮১ দশমিক ৫২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৩১ জন। এবারের জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কিছুটা পাসের হার বেড়েছে। তবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে অর্ধেক নেমে এসেছে। গতবারের পাসের হার ছিলো ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়ে ছিলো ১০ হাজার ৩১৫ জন।
গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল ঘোষণাকালে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোডের্র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার এক হাজার ২৪০টি স্কুলের দুই লাখ ৫২ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। যার মধ্যে এক লাখ ৬৫ হাজার ৩৮ জন পাস করেছে। যা ২০১৭ সালে পাসের হার ছিলো এক লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪ জন। এবারে জিপিএ -৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৩১ জন শিক্ষার্থী। যা ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ৩১৫ জন। এবারের জেএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮১ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং জিপিএ -৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ২৩১ জন। এবারের ফলাফল ২০১৭ সালের ফলাফলের সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, পাসের হার কিছুটা বেড়েছে, তবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এবারের ফলাফলে পাসের হার বেড়েছে ও জিপিএ-৫ কমেছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, তিন পার্বত্য জেলা এবং কক্সবাজার জেলার পাসের হার গতবারের তুলনায় বাড়ার কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সার্বিক ফলাফলে পাসের হার বেড়েছে। তবে মূল বিষয়ের সাথে চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ না হওয়ায় এবারের ফলাফলে জিপিএ-৫ পাওয়ার শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবার চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলার পাসের হার ৮১ দশমিক ১৮ শতাংশ। কক্সবাজারে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পার্বত্য জেলা গুলোর মধ্যে রাঙামাটি জেলায় পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ৭৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলার পাসের হার ৮০ দশমিক ০৩ শতাংশ। এবার ছাত্র পাসের হার ৮২ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং ছাত্রী পাসের হার ৮০ দশমিক ৯২ শতাংশ।
এদিকে চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানসহ কক্সবাজার জেলার ২২৪টি কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে নগরসহ চট্টগ্রাম থেকে ৭৭৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৪ জন, কক্সবাজার থেকে ১৮০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩২ হাজার ৮২৩ জন, রাঙামাটি থেকে ১২৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১১ হাজার ৮১০ জন, খাগড়াছড়ি থেকে ১০১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার ৪৭০ জন এবং বান্দরবান থেকে ৫৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ হাজার ৩৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এবারের পাসের হার শূন্য এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা একটি রয়েছে। ২০১৭ সালে পাসের পাশের হার শূন্য এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল শূন্য (০)। শতভাগ পাসের হার এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা গতবারের চেয়ে একটি কমে ৮৯টি। যা গতবারে ছিলে ৯০টি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের হার ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রের সংখ্যা ২ হাজার ৩০ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৩ হাজার ২০১ জন। যা ২০১৭ সালে ছাত্রের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৩৫৫ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯৬০ জন। এছাড়া গণিত বিষয়ে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০৯টি। যা গতবারে ছিল ২৮৭টি। ইংরেজি বিষয়ে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৯৩টি। যা গতবার ছিল ১৭৭টি।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের উপ সচিব মো. ফখরুল মাওলা, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তাওয়ারিক আলম ও উপ কলেজ পরিদর্শক মো. হালিমসহ প্রমুখ।