বেড়েছে চা উৎপাদন কমবে আমদানি

52

দেশে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত চা উৎপাদন হয়েছে ৮৯ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন কেজি। ডিসেম্বর শেষে যা দাঁড়াচ্ছে ৯৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৯ কোটি কেজির বেশি। যদিও এখনো চ‚ড়ান্ত হিসাব শেষ হয়নি বাংলাদেশ টি বোর্ডের (বিটিবি)।
২০১৮ সালে বাংলাদেশে চা উৎপাদন হয়েছিলো ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি। ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত যে উৎপাদন হয়েছে তা আগের বছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন কেজি বেশি। বিটিবি’র সচিব কুল প্রদীপ চাকমা এসব তথ্য জানান।
সূত্র জানায়, উৎপাদন বাড়ায় চা আমদানি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বছরে কেনিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৭ মিলিয়ন কেজি চা আমদানি করা হয়। এ বছর তা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে চায় বিটিবি। সাড়ে ৩ মিলিয়ন চা আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে এবার। কারণ দেশে উৎপাদিত চা’র সঙ্গে মেশানোর জন্য (বেøন্ডিং) উন্নতমানের কিছু চা-পাতা আমদানি করতে হয়। খবর বাংলানিউজের
চা উৎপাদন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রাঙামাটির কাপ্তাই ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, সরকারের নানা ইতিবাচক উদ্যোগ, বিটি জাত উদ্ভাবন, পাহাড়ি এলাকায় প্রান্তিক চাষিদের বিটি জাতের চা চারা সরবরাহ, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, হাতের স্পর্শ ছাড়া (আনটাচ প্রসেসিং প্লান্ট) চা উৎপাদন, কৃত্রিম সেচ ব্যবস্থা, আড়াই শতাংশ হারে বাগান সম্প্রসারণ, অনুকূল আবহাওয়া,শ্রমিকদের দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নত বাগান ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কারণে উৎপাদন বাড়ছে।
তিনি বলেন, এটা সত্যি একসময় বাংলাদেশ চা রপ্তানিকারক দেশ ছিলো। মোট উৎপাদনের ৩০ শতাংশ রপ্তানি হতো। ৩০টি দেশে রপ্তানি হতো আমাদের চা। চা রপ্তানিতে আমরা ছিলাম অষ্টম। এখন আমাদের দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হয়েছে। তাই চা’র অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েছে। উল্টো আমদানি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সবাই এখন চা পান করে। সুলভে, সহজে চা পাওয়া যায় হাত বাড়ালেই।
বিটিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশে চা উৎপাদন হয় ৫৯ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন কেজি। ২০১০ সালে ছিলো ৬০ দশমিক ৪ মিলিয়ন কেজি। পরের বছর কমে দাঁড়ায় ৫৯ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি।
২০১২ সালে চা উৎপাদন হয় ৬২ দশমিক ৫২ মিলিয়ন কেজি। ২০১৩ সালে ৬৬ দশমিক ২৬ মিলিয়ন, ২০১৪ সালে ৬৩ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন, ২০১৫ সালে ৬৭ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন, ২০১৬ সালে ৮৫ দশমিক ০৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। ২০১৭ সালে চা উৎপাদন কমে দাঁড়ায় ৭৮ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন কেজি। ২০১৮ সালে ছিলো ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি।