বৃহস্পতির চাঁদে আছে খাদ্য লবণ, মহাসাগর

33

এই প্রথম খাবার লবণ মিলল এই সৌরমন্ডলের অন্য কোনো গ্রহে। তাও আবার বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায়। ফলে আরো নিশ্চিত হওয়া গেল পৃথিবীর মতোই লবণাক্ত তরল পানির বিশাল বিশাল সাগর, মহাসাগর রয়েছে বৃহস্পতির ওই চাঁদে। ইউরোপা ভেসে যাচ্ছে আমাদের মতোই সমুদ্রের পানিতে। এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা।
নাসা বলেছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন, বৃহস্পতিবার চাঁদ ইউরোপা অনেকটা তালশাঁসের মতো। কারও ধারণা, এগুলো তরল পানিতে ভরা। কারওবা ধারণা, সেগুলো ভরা মিথেন বা ইথেনের মতো তরল হাইড্রোকার্বনে। কিন্তু খাবার লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইডের হদিস মেলায় এবার অনেক বেশি নিশ্চিত হওয়া গেল, ইউরোপার পিঠের নিচে যে বিশাল বিশাল সাগর ও মহাসাগর রয়েছে, সেগুলো আসলে পানিতেই ভর্তি। নাসা জানিয়েছে, দৃশ্যমান আলোর বর্ণালি বিশ্লেষণ করেই এই তথ্য পেয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ক্যালটেক) ও পাসাডেনায় নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির (জেপিএল) বিজ্ঞানীরা। ইউরোপার পিঠের যে জায়গায় হলুদ ছোপ দেখা গেছে, সেগুলো আসলে ওই চাঁদে থাকা খাবার লবণ।
গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি ছাপা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ, যার শিরোনাম—‘সোডিয়াম ক্লোরাইড অন দ্য সারফেস অব ইউরোপা’। বেশ কয়েক বছর আগে ইউরোপার পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নাসার দু’টি মহাকাশযান ‘ভয়েজার’ ও ‘গ্যালিলিও’ এটির প্রচুর ছবি তুলেছিল। সেই সব ছবি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা তখনই আঁচ করতে পেরেছিলেন, বিশাল কিছু আবিষ্কার করতে যাচ্ছেন তার।