বৃহত্তর পরিসরে হবে আগামীর বইমেলা

30

চট্টগ্রামের ১৪ গুণী ব্যক্তিকে একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও একুশে সাহিত্য পুরস্কার- ২০১৯ দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ জিমনেসিয়াম চত্বরে সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ও সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সহযোগিতায় বই মেলা মঞ্চে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও তাদের পবিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।
অমর একুশে বই মেলা চট্টগ্রাম- ২০১৯ এর আহবায়ক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা ও প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
সংবর্ধিত ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতার, প্রকৌশলী আলী আশরাফ, সাফিয়া গাজী রহমান, মানজুর মুহাম্মদ, মোস্তফা কামাল, মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, মরহুম আইয়ুব বাচ্চুর পিতা হাজী মোহাম্মদ ইসহাক, দবির আহমদ চৌধুরীর পুত্র আবদুর রহমান চৌধুরী অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
বই মেলা মঞ্চে সংবর্ধিত গুণীজন, চসিক কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, নগরীর গুণীজনদের সংবর্ধনা প্রদান ও তাদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে হাজারো গুণীজন সৃষ্টি হবে।
চট্টগ্রামের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করার অঙ্গীকার করে মেয়র বলেন, আমাদের উপর উর্দু চাপিয়ে দেয়ার পরিণতি ভাষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা অর্জন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণ ও পাঠক সমাজ দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছিল চট্টগ্রামে বই মেলার আয়োজন করার। তাই গ্রহণযোগ্য ও সম্মিলিত বই মেলার জন্য বিভিন্নভাবে প্রকাশক, নাগরিক সমাজ, লেখক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবদিক, শিক্ষক, গবেষক ও সাহিত্য সংস্কৃতি কর্মীদের সাথে আলোচনা করি। এবারের আয়োজন ভিন্ন আঙ্গিকে হওয়ায় প্রাথমিক ভাবে সফল হয়েছি। বৃহত্তর পরিসরে আগামী বছরও এই বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে চট্টগ্রামের ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজসেবক, চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, সংগীত শিল্পী, পেশাজীবীদের সম্মাননা প্রদানের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনের নাম ঘোষনা করে। এর মধ্যে একুশে সম্মাননা পদক পেয়েছেন ১০ গুণী ব্যক্তি এবং সাহিত্য ক্ষেত্রে পেয়েছেন ৪জন।
সম্মাননা পাওয়া ১৪ জনের মধ্যে ভাষা আন্দোলনে দবির আহমদ চৌধুরী (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধে (মরণোত্তর) মোহাম্মদ ইব্রাহীম, স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ আবদুর রব (মরণোত্তর), সঙ্গীতে আইয়ুব বাচ্চু (মরণোত্তর) এর পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যরা ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহণ করেন।
এছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডা. এসএম কামাল উদ্দীন, ক্রীড়ায় কামাল উদ্দীন আহমেদ, শিক্ষায় প্রফেসর (প্রকৌশলী) আলী আশরাফ, সমাজ সেবায় সাফিয়া গাজী রহমান, সংগঠক হিসেবে মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, সাংবাদিকতায় মোস্তফা কামাল পাশা এবং সাহিত্য গবেষণায় পুরস্কার পেয়েছেন ড. শিরীন আখতার, কথাসাহিত্যে দেবাশীষ ভট্টচার্য্য, শিশু সাহিত্যে মানজুর মুহাম্মদ ও কবিতায় খালেদ হামিদী। তারা নিজেরাই মেয়রের নিকট থেকে ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহণ করেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বেদীতে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরনে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ১ মিনিটে নগর ভবনস্থ বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এই সময় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, চসিক প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামশুদ্দোহা, ভারপ্রাপ্ত সচিব প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়াসহ বিভাগীয় শাখা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চসিক শ্রমিক-কর্মচারী লীগ (সিবিএ) এবং ওয়ার্ড সচিব ফোরাম নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অপর্ন করেন। বিজ্ঞপ্তি