বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

122

এবারের প্রতিপাদ্য শিক্ষায় বন প্রতিবেশ আধুনিক বাংলাদেশ ও পরিকল্পিত ফল চাষ-যোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার। বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার র‌্যালি এবং উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। গত সোমবার জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বৃক্ষরোপণ করেন ২৯৯নং সংসদ সদস্য দীপংকরতালুকদার এমপি। বৃক্ষমেলার উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। বৃক্ষমেলার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, একটি মহলের বাধার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে সামাজিকবনায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম সামাজিক বনায়ন গড়ে তুলার লক্ষে প্রায় ৩শ’কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু সামাজিক বনায়ন করতে গেলে বন বিভাগকে বিভিন্ন ভাবে অজুহাত দেখান একটি মহল। তিনি বলেন, পাহাড়ে উন্নয়ন করতে গেলে পদে পদে বাধা দেয় এ মহলটি। এছাড়াও তারা অগ্রহন যোগ্য কিছু শর্ত দিয়ে থাকেন যা পূরণ করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নহে। আজ বিভিন্ন অজুহাতে তারা বনায়ন এলাকাগুলো দখল করে রেখেছেন। পাহাড়ে উন্নয়নের মূল বাধার কারন অবৈধ অস্ত্র। আজ শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের পরও পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) এসএম শফি কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত রাখেন দক্ষিণ বন বিভাগের বন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ রাঙামাটি অঞ্চল অতিরিক্ত পরিচালক প্রনব ভট্টাচার্ষ্য,রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বেশী বেশী করে গাছ লাগাতে হবে। আমরা গাছ কাটি কিন্তু গাছ লাগাতে জানিনা। কথায় আছে একটি গাছ কাটলে কমপক্ষে ১০টি গাছের চারা লাগাতে হয়। আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম সবুজ বনাঞ্চল উজার করে মরুভূমিতে পরিনত হয়েছে। যার কারনে পার্বত্য চট্ট গ্রাম ঘন ঘন পাহাড় ধস হচ্ছে। সপ্তাহ ব্যাপী বৃক্ষমেলা সফল করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। রাঙামাটি প্রতিনিধি