বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে

31

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গাছ মানুষের পরম বন্ধু। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী গাছের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষায় বনায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে ব্যাপকভাবে গাছ লাগানো কর্মসূচি শুরুকরেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সারাদেশে অবাধ ও নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন চলছে। এর ফলে নানাধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই বৃক্ষরোপনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করতে হবে। তিনি গত ২২ জুলাই দুপুরে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে একথা বলেন। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এখন বর্ষাকাল। গাছের চারারোপনের উপযুক্ত সময়। তাই সবাইকে নিজ নিজ বাড়ির আঙ্গিনায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়কপথ ও খালি জায়গায় প্রচুর পরিমানে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করে সামাজিক বনায়ন সৃষ্টি করতে হবে। এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, পৃথিবীকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করতে এবং বন্যা প্রতিরোধে বৃক্ষের ভূমিকা অনেক। বনাঞ্চল না থাকলে পৃথিবী হয়ে ওঠত মরুভূমি এবং মানুষের অস্তিত্ব হতো বিপন্ন। পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য আজ প্রতিদিন বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। বড় বড় গাছ বজ্রপাত প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে বৃক্ষ নিধন নয়, বৃক্ষ রোপনই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই আসুন গাছ লাগাই, গাছের পরিচর্যা করি এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট হই। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, শিল্প সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহ প্রচার সম্পাদক খোরশেদ আলম কুতুবী, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, বিএনপি নেতা মো. নিজাম উদ্দিন, দিদারুল আলম, ছাত্রদল নেতা মো. আনাস, বোরহানুল হক, আরশে আজিম আরিফ, আহমেদুল ইসলাম সাদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি