বীর চট্টলার ‘কাচ্চি বিরিয়ানি’তে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের

723

ভোজন রসিক চট্টগ্রামের মানুষের হৃদয় জয় করেছে ‘বীর চট্টলা’ রেস্টুরেন্ট। চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্যে তুলে ধরা এই রেস্তোরার ইফতারি আয়োজনেও রয়েছে মুন্সিয়ানা। নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত হাইজেনিক ইফতারি আয়োজনের পাশাপাশি রয়েছে পোলাও- বিরিয়ানীর বেশ কয়েক পদ। শহুরে জীবনে নস্টালজিয়া জাগানো ঐতিহ্যের সাথে ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে যেন সবার আগ্রহ বাড়ছে। তাই হয়তো বীর চট্টলার ‘মাটনের কাচ্চি বিরিয়ানী’ প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। গতকাল ‘বীর চট্টলার’ ইফতার আয়োজন পরিদর্শনে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা যায়।
নগরীর জামালখান মোড়ের একটু সামনে এগোতেই নজর কাড়বে ‘বীর চট্টলা’ রেস্টুরেন্ট। দেখে যে কারোরই মনে হবে, ইট পাথরের শহরে একগুচ্ছ ঐতিহ্যের আয়োজন। ভোজন রসিক চট্টগ্রামের ঐতিহ্য মেজবানি আয়োজনের সবক’টি অনুষঙ্গের দেখা মিলবে এই রেস্তোরায়। এমনকি রেস্তোরার বাইরেও রয়েছে এমনই আবহ। তাদের ইফতারি আয়োজনে মিষ্টি খাবারের মধ্যে রয়েছে ২৯০ টাকা দামের ইতালিয়ান পুডিং, তাদের তৈরি ফিন্নি, শাহী জর্দা ভাত, বোরহানি জর্দা ভাতসহ আরও কয়েক পদ। ইফতারের নিয়মিত ছোলা- পেঁয়াজু তো রয়েছেই। তাছাড়া ক্রেতাদের আগ্রহের তালিকায় রয়েছে ২৮০ টাকা দামের ‘কাচ্চি বিরিয়ানী’।
এখান থেকে ইফতার কিনতে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতাদের সাথে কথা হয়। গৃহিনী মাসুদা পারভেজ খুলশি থেকে বীর চট্টলায় এসেছেন কাচ্চি বিরিয়ানী কিনতে। তিনি পূর্বদেশকে বলেন, আমার মতে বীর চট্টলায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবারের নিখাদ আয়োজন থাকে। স্বাদে যেমন অনন্য, তেমনি মাননিয়ন্ত্রণে মনোযোগিতার সুনাম। বাচ্চাদের চাহিদার কারণে এখান থেকে মাটনের কাচ্চি বিরিয়ানী নিতে এসেছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পোলাও এর মধ্যে রয়েছে ৯০ টাকার দামের পোলাও, ২২০ টাকার মোরগ পোলাও। এছাড়াও রয়েছে ১২০ টাকা দামের চিকেন কাটা রোস্ট, শাহী কাবার, জালি কাবার, মাটন কোরমা, এগ কোরমাসহ আরও বাহারি পদের ইফতার আয়োজন। রেস্টুরেন্টটিতে চিকেনের তৈরি হরেক পদের ইফতারতো আছেই।
তবে কাচ্চি বিরিয়ানীর পরেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে কেজি প্রতি ৫৫০ টাকা দামের স্পেশাল হালিম। ইফতারের পরবর্তী সময়েও ক্রেতাদের ভীড় জমে এই মাটনের হালিমের স্বাদ নিতে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মনজুরুল হক পূর্বদেশকে বলেন, চট্টগ্রামের মানুষের ভোজনের প্রতি রয়েছে আলাদা ঐতিহ্য। সেটা বাংলাদেশের আরও কোথাও নেই। এই শহুরে পথচলায় যাতে আমাদের প্রাণের ঐতিহ্য হারিয়ে না যায়, তারই লক্ষ্যে কাজ করছে বীর চট্টলা। রমজানে স্বাদের প্রতি আমাদের নজর রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখা হচ্ছে খাবারের মানের প্রতি। আমরা একসাথে পেঁয়াজু-ছোলা তৈরি করে রাখিনি। সময় নিয়ে অল্প অল্প বানিয়ে সেসব বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়া কোনো রকম বাসি বা আগের দিনের ইফতার এখানে বিক্রি করা হয় না। শুধু ঐতিহ্য নয়; স্বাস্থকর ইফতারের সবক’টি আয়োজনে শতভাগ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে বীর চট্টলা।