বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তির কাছ থেকে কুমির সরানো হচ্ছে

28

বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তির পাশের একটি জলাশয় থেকে প্রায় ৩০০ কুমির সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। দর্শনার্থীদের জন্য সি-প্লেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করতে জলাশয়টি কুমিরমুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। কুমিরগুলোকে খাঁচায় ভরে গুজরাট রাজ্যের অন্য কোনো স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকগুলো কুমির লম্বায় প্রায় তিন মিটার (৯ ফুট) । বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদীরা কুমির সরিয়ে নেওয়ার এ পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৮২ মিটার উঁচু এ ব্রোঞ্জের মূর্তিটি গত অক্টোবরে উদ্বোধন করা হয়। এর অবস্থান গুজরাটের প্রধান শহর আহমেদাবাদ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ নামের এ মূর্তি লোকজনের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠলেও বাস ছাড়া সেখানে যাওয়ার বিকল্প কোনো উপায় নেই। ‘পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে’ রাজ্য সরকার কুমির সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বন কর্মকর্তা অনুরাধা সাহু। তখন পর্যন্ত ১২টির মতো কুমির পিকআপ ট্রাকে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্য সরকারের এ সিদ্ধান্ত ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন কমিউনিটি সায়েন্স সেন্টারের পরিচালক জিতেন্দ্র গাভালি।

“সরকার তাদের আবাসস্থলে বিঘ্ন ঘটিয়ে কুমিরগুলোর জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। এমনকী কুমিরগুলোকে ধরার পর নিরাপদে কোথায় ছাড়া হবে সরকার তাও ভাবেনি,” ড. গাভারি এমনটি বলেছেন বলে উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। বন্যপ্রাণী বিষয়ক সাময়িকী স্যাঙ্কচুয়ারি এশিয়ার সম্পাদক বিট্টু সাহাগলও এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। প্যাটেলের মতো ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গুজরাটের সন্তান। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ২০১০ সালে মোদী প্যাটেলের এই মূর্তি নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছিলেন। প্রায় তিন হাজার কোটি রুপি ব্যায়ে এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। এটি নিউ ইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টির প্রায় দ্বিগুণ লম্বা। সা¤প্রতিক সময়ে মোদীর ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নিজেদের প্যাটেলের উত্তরসূরী বলে দাবি করতে শুরু করেছে।